আজ (মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ডাচ আন্তর্জাতিক সহযোগিতাবিষয়ক উপমন্ত্রী পাসকাল গ্রোটেনহুইসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
সাক্ষাতে কৃষি, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, যুব উন্নয়ন ও নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনসহ বিভিন্ন সহযোগিতা সম্প্রসারণ বিষয়ে আলোচনা হয়।
গণতান্ত্রিক উত্তরণ নিয়ে আলোচনায় ড. ইউনূস পুনর্ব্যক্ত করেন যে, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের প্রতি সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।
তিনি বলেন, ‘এ নির্বাচনে রেকর্ডসংখ্যক তরুণ প্রথমবার ভোট দিতে পারবেন। এর আগে স্বৈরশাসকের অধীনে তিনটি কারচুপির নির্বাচনে তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘এটি আমাদের সবার জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আন্দোলনের সময় দেয়ালে গ্রাফিতি আঁকা তরুণরাই এবার ভোট দিতে আসবে।’
সাক্ষাতে ডাচ উপমন্ত্রী বাংলাদেশের নির্বাচন প্রস্তুতির প্রশংসা করেন। তিনি উল্লেখ করেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার খুব কম সময়ে নির্বাচন প্রস্তুতি নেয়া সত্ত্বেও তা প্রশংসনীয়। একইসঙ্গে তিনি সদ্য প্রণীত শ্রম আইনের প্রশংসা করে বলেন, ‘এটি বাংলাদেশে আরও ইউরোপীয় ও ডাচ বিনিয়োগ আকর্ষণে সহায়ক হবে।’
তিনি জানান, নেদারল্যান্ডস শিগগিরই বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সঙ্গে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পরিকল্পনা করছে, যা দ্রুতই বাস্তবায়ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ডাচ উপমন্ত্রী বলেন, ‘৫০ বছর ধরে নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার। এখন আমরা এটিকে রাজনীতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগভিত্তিক একটি সমতাপূর্ণ অংশীদারত্বে পরিণত করতে চাই।’
তিনি জানান, ডাচ কোম্পানিগুলো এখন শুধু বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানিই নয়, বরং এখানে বিনিয়োগ ও কার্যকর অংশীদার হিসেবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করছে।





