‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের উদ্বোধন আজ, নিবন্ধন যেভাবে

‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের উদ্বোধন
‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের উদ্বোধন | ছবি: এখন টিভি
1

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটার (Expatriate Bangladeshi Voters), নির্বাচনি দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিসহ পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ (Postal Vote BD App) এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হচ্ছে আজ (মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর)। সন্ধ্যা ৬টায় নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন এ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটি উদ্বোধন করবেন।

নির্বাচন কমিশন (Election Commission/EC) সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসীরা ছাড়াও আগামী নির্বাচনে নিজ ভোটার এলাকার বাইরে কর্মরত সরকারি চাকরিজীবী এবং আইনি হেফাজতে থাকা ভোটাররা আইটি-সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেবেন (Vote by Postal Ballot)। তারাও এ পদ্ধতিতে নিবন্ধনের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ১৮ নভেম্বর পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানের জন্য অ্যাপ চালু হবে। এরপর অনলাইনে ফর্ম পাওয়া যাবে, সেটি ডাউনলোড করে পূরণ করতে হবে। নির্বাচনের তিন সপ্তাহ আগে প্রার্থীর তালিকা চূড়ান্ত (Candidate List Finalization) হবে। এরপর ভোট দিয়ে নিকটস্থ পোস্ট বক্সে জমা দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের অন্তত ১৭ দিন আগে পোস্টাল ভোট পাঠিয়ে দিতে হবে (Postal Vote Deadline)। না হলে নির্বাচনের পরে ভোটটি পৌঁছালে সেটি আর গ্রহণযোগ্য হবে না।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের প্রবাসী বাংলাদেশি যদি এক কোটি ৪০ লাখ থাকে, তাহলে তা আমাদের জনসংখ্যার সাত থেকে আট ভাগ হবে। অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের প্রত্যাশা, প্রবাসী ভোটার সংখ্যা (Expatriate Voter Count) বেশি হবে। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রবাসী ভোটার নিবন্ধনে উৎসাহিত করার অনুরোধ জানান।

ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, নিবন্ধনের জন্য প্রবাসীদের গুগল প্লে স্টোর বা আইফোনের অ্যাপ স্টোর থেকে ‘Postal Vote BD’ অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে (Download Postal Vote App)। এরপর লগইন করে অ্যাকাউন্ট তৈরির সময় মোবাইল নম্বর দিতে হবে। মোবাইল নম্বরে আসা ওটিপি (OTP/One Time Password) দিয়ে নম্বর নিশ্চিত করতে হবে। এরপর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি/NID) হাতে নিয়ে সেলফি তোলা এবং আলাদাভাবে এনআইডি'র ছবি জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। পাসপোর্ট (Passport) থাকলে তার ছবিও দিতে হবে। সবশেষে বিদেশে বর্তমান ঠিকানার তথ্য দিলে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। সিস্টেম থেকে তথ্য যাচাই শেষে অ্যাপে ‘আপনি এখন নিবন্ধিত’ বার্তা দেখা যাবে। এরপর অপেক্ষা থাকবে কেবল ব্যালট পেপারের (Ballot Paper) জন্য।

আরও পড়ুন:

ইসির নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, নিবন্ধন শেষে তথ্য সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে যাবে। তাদের মাধ্যমে পৃথক ভোটার তালিকা প্রস্তুত (Separate Voter List) করা হবে। এরপর নির্ধারিত সময়ে ভোটারের ঠিকানায় তিন খামের ভেতর ব্যালট পাঠানো হবে। একটি খামের ভেতরে থাকবে ব্যালট পেপার, আরেকটিতে আসন নম্বর ও রিটার্নিং কর্মকর্তার ঠিকানা উল্লেখ থাকবে। ভোটার ব্যালট পেপারে ভোট দিয়ে দ্বিতীয় খামে ভরে নিকটস্থ পোস্ট বক্সে জমা দিলেই ভোটের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

আরেক ধাপে বলা হয়েছে, খাম পাওয়ার পর ভোটারকে অ্যাপে লগইন করে মোবাইল নম্বর নিশ্চিত করতে হবে, নিজের ছবি তুলতে হবে এবং খামের ওপর থাকা কিউআর কোড স্ক্যান করতে হবে। এতে প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর আসনের সব প্রার্থীর নাম দেখা যাবে। এরপর খাম খুলে ব্যালটে ভোট দিয়ে একটি ঘোষণাপত্রে সই করতে হবে। ব্যালট খামে ভরে তা নিকটস্থ পোস্ট অফিসে জমা দিলেই ভোট সম্পন্ন (Voting Process Complete) হবে।

'পোস্টাল ভোট বিডি' অ্যাপের নিবন্ধন প্রক্রিয়া (Postal Vote BD' app registration process PDF) পিডিএফ দেখতে নিচে ক্লিক করুন।

  1. পোস্টাল ভোটিং (আইটি সাপোর্টেড) এর তালিকাভুক্তি প্রক্রিয়া (Postal Voting Enrolment Process)
  2. পোস্টাল ভোটিং (আইটি সাপোর্টেড) এর ভোটদান প্রক্রিয়া (Postal Voting Voting Process)

এসআর