আজ (সোমবার, ১৭ নভেম্বর) আল-জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে শ্রীরাধা দত্ত বলেন, ‘রায়টি প্রত্যাশিত ছিল। তবে দিল্লি শেখ হাসিনাকে ফেরত দেবে, এমন সম্ভাবনা নেই।’ তিনি বলেন, ‘গত দেড় বছরে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক সময় ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারত তাকে প্রত্যর্পণ করবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোও একমত যে, বাংলাদেশে ট্রাইব্যুনালের বিচারপ্রক্রিয়া দেশিয় আইনি কাঠামো অনুসরণ করেই হয়েছে।’ ‘দেশের পরিস্থিতি সবারই জানা। সবার আশা ছিল তার (হাসিনা) কঠোর বিচার হবে,’ মন্তব্য করেন তিনি।
অধ্যাপক শ্রীরাধার দাবি, নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ‘তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন, এমন প্রমাণ আদালতে উপস্থাপিত হয়েছে,’ বলেন তিনি।
তিনি যোগ করেন, ‘আওয়ামী লীগ পাল্টা বর্ণনা তৈরি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে, হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।’
আরও পড়ুন:
এর আগে, সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রায় ঘোষণা করে। মামলায় দুই অভিযোগে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড এবং এক অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়।
রায়ে আদালত বলেন, শেখ হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন, এমন প্রমাণ সন্দেহাতীতভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। কামালকে মৃত্যুদণ্ড এবং রাজসাক্ষী হওয়ায় মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। রায় ঘোষণা শুরু হয় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এবং আদালত ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায়ের সংক্ষিপ্তাংশ পড়ে শোনান।





