শাহবাগে পুলিশ ও প্রাথমিক শিক্ষকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, লাঠিচার্জ-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

পুলিশ ও প্রাথমিক শিক্ষকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
পুলিশ ও প্রাথমিক শিক্ষকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া | ছবি: এখন টিভি
0

দশম গ্রেডের বেতনসহ তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ‘পেন ড্রপ’ কর্মসূচি পালনকালে শাহবাগে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। আজ (শনিবার, ৮ নভেম্বর) এ ঘটনা ঘটে। একে দু’পক্ষেরই কয়েকজন আহত হয়েছেন।

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিকেলে শাহবাগে ‘পেন ড্রপ’ কর্মসূচিতে প্রথমে শান্তিপূর্ণভাবে একদল কলম দিয়ে গেলেও পরে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে শিক্ষকদেরই আরেকপক্ষ। সেসময় তাদের নিয়ন্ত্রণ ও ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের পক্ষ থেকে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদ আলম এখন টিভিকে বলেন, ‘শিক্ষকদের মধ্যে যে কয়েকটা গ্রুপ আছে এটা আমরা জানি না। তাদের মধ্যে এক দল এসে শান্তিপূর্ণভাবে কলম দিয়ে যায়। আমার হাতে সে কলমগুলো এখনও আছে। কিন্তু এরপরই অন্য একদল আমাদের ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে আমরা তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিই। এতে আমাদের কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।’

এদিকে শিক্ষকদের অভিযোগ, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে কোনো কারণ ছাড়াই আক্রমণ করেছে পুলিশ। অন্যায়ভাবে তাদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে বলেও জানান তারা।

আরও পড়ুন:

এ ঘটনায় শিক্ষক ও পুলিশ—দু’পক্ষেরই কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

এর আগে সকাল থেকে দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা।

প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের ব্যানারে চারটি সংগঠনের শিক্ষকরা এ অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন। দুপুরের পর তারা শাহবাগ অভিমুখে রওনা দেন। এরপরই পুলিশের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। শিক্ষকরা জানিয়েছেন, দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

গত ২৪ এপ্রিল প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০ম গ্রেডে এবং ১৩তম গ্রেডের শিক্ষকদের ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

যদিও শহিদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সহকারী শিক্ষকরা বলছেন, এ সিদ্ধান্তে তাদের দাবির প্রতিফলন ঘটেনি, তাই আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন তারা। একইসঙ্গে সহকারী শিক্ষদের ১০ গ্রেডে নেয়ার দাবি নিয়ে আবারও মাঠে নেমেছেন তাার।

এসএস