প্রায় আড়াই বছর স্থগিতাদেশ থাকার পর গত আগস্ট মাসে নতুন করে কর্মী নিতে আগ্রহ দেখায় মালয়েশিয়া। সম্প্রতি বিদেশি রিক্রুটিং এজেন্সিগতে ১০টি বাধ্যতামূলক মানদণ্ড বেঁধে দেয় দেশটি। এতে করে ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও মিয়ানমারের মতো কর্মী পাঠানোর সমান সুযোগ আসে বাংলাদেশের।
অভিন্ন মানদণ্ডে নিজেদের প্রমাণ করতে কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী আবেদন শুরু করে বৈধ লাইসেন্সধারী রিক্রুটিং এজেন্টরা প্রবাসী । এরমধ্যে প্রায় সাড়ে তিনশ থেকে চারশো আবেদন জমা পড়েছে। শুক্রবার শেষ হচ্ছে এই আবেদনের সময়। কিছু এজেন্সি গুড কন্ট্রাক সার্টিফিকেটও পেয়েছে।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো কার্যালয়ে প্রত্যায়ন প্রত্যাশীদের ভিড় ছিল বৃহস্পতিবার বিকালেও। অতিরিক্ত ভিড়ে দুপুর পর্যন্ত তালা ঝুলিয়ে রাখা হয় কর্মসংস্থান অনুবিভাগে। যদিও এই বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি কর্তৃপক্ষ ।
মালয়েশিয়ার বেঁধে দেয়া মানদণ্ডে নিজেরা সক্ষম বলছেন বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। গত বছর প্রস্তুতি নেয়া প্রায় ৮ হাজার কর্মীকে নতুন করে দেশটিতে পাঠানোরও প্রস্তুতি নিচ্ছে এই প্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বোয়েসেল যে কাজটা করছে সেটি হচ্ছে প্রায় ৮ হাজারের মতো মানুষ যারা গত বছর যেতে পারেনি তাদের নিয়ে এখন বোয়েসেল কাজ করছে। তাদের একটা শঙ্কা আমরা আশা করছি যাবে এবং সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।’
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর শর্ত অনুযায়ী, বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্টের ক্ষেত্রে লাইসেন্স পাওয়ার পর ন্যূনতম ৫ বছরের পরিচালনার অভিজ্ঞতা কিংবা ১০ হাজার বর্গফুট আয়তনবিশিষ্ট স্থায়ী অফিস, অবকাঠামোগত সুবিধা আদৌ কতটি রিক্রুটিং এজেন্সি দেখাতে পারবে কিংবা নিজেদের সক্ষমতা যাচাইয়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারবে- সেটিই এখন বড় প্রশ্ন!
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) সাবেক মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘যে ১০টা কর্মীর কন্ডিশন দিয়েছে এ ১০টা না হলে অনেকের ৯টা পূরণ করতে হবে। এটা মন্ত্রণালয় দেখবে। মন্ত্রণালয় যেহেতু ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ে তারা কথা বলছে, মন্ত্রণালয় যেহেতু কান্ট্রি টু কান্ট্রি তারা কথা বলছে তারা এ বিষয়টা এড্রেস করবে।’
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) সচিব মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো যদি সেই মানদণ্ড মেইন্টেইন করে তাহলে আজকে যেমন মালয়েশিয়ান শ্রমবাজার যে বন্ধ হয়েছে সে বন্ধটা হতো না।’





