আজ (বুধবার, ৫ নভেম্বর) দুপুরে ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ কার্যক্রমের আওতায় সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি ও কর্মকাণ্ড নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুর রহমান।
তিনি জানান, এ পর্যন্ত সেনাবাহিনী ৮১ শতাংশ লুট হওয়া অস্ত্র, ৭৩ শতাংশ গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে এবং ১৯ হাজার অপরাধীকে আইনের আওতায় এনেছে। জনগণও চায় সরকারের রূপরেখা অনুযায়ী একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার আসলে দেশের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে আরও স্থিতিশীল হবে, তখন সেনাবাহিনী তাদের ব্যারাকে ফিরে যাবে।
আরও পড়ুন:
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুর রহমান বলেন, ‘বিগত ১৫ মাসে দেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ছিল। এই সময়ে সেনাবাহিনী মাঠে ছিল, প্রশিক্ষণ থেকে দূরে ছিল। সীমিত লোকবল থাকা সত্ত্বেও ফেনী-নোয়াখালীর বন্যাসহ নানা সংকটে দায়িত্ব পালন করেছে, যেটা তাদের প্রাথমিক দায়িত্ব না।।’ তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী না থাকলে এই সময়ে কী অবস্থা হত, তা কল্পনা করা যায় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেনাবাহিনী সব সময় তার শীর্ষ নেতৃত্বের অনুগত। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল সেনাবাহিনীর ইমেজ ক্ষুণ্ণ করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করেছে। সেনাবাহিনীর মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্যবোধ অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি। ১৫ বছর ধরে যে আবেগগুলো প্রকাশ করা যায়নি, তার একটি আউটব্রাস্ট ঘটেছে। তখন রাষ্ট্রের অনেক প্রতিষ্ঠান অকার্যকর হয়ে গিয়েছিল।’
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুর রহমান উল্লেখ করেন, ঢাকামুখী অস্ত্রের চালান ধরা সেনাবাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ সফলতা। মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সেনা সদস্যরা চাকরিচ্যুত হবে কি না, তা নিয়ে সরকার সঙ্গে আলোচনা চলছে।’





