ভারতের সঙ্গে চুক্তি বাতিল: আসিফ মাহমুদের তথ্য সঠিক নয় বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন | ছবি: এখন টিভি
1

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ দু’দিন আগে (রোববার, ১৯ অক্টোবর) তার ফেসবুক পেজে ভারতের সঙ্গে ১০ চুক্তি বাতিলের খবর দিয়েছিলেন। তবে আজ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের করা চুক্তিগুলোর মধ্যে একটি মাত্র বাতিল হয়েছে, আর কিছু পর্যালোচনা বা পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে। ফেসবুকে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সেটি সঠিক নয় বলেও মন্তব্য করেন এই উপদেষ্টা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আজ (মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর) আয়োজন করা হয় প্রেস ব্রিফিংয়ের। সেখানে তৌহিদ হোসেন জানান, ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) যেটি আছে সেটি বাতিলের একটি প্রক্রিয়া চলছে।

উপদেষ্টা বলেন, ‘যেসব দেশ লাইন অব ক্রেডিট দেয় সেটি তাদের স্বার্থ দেখেই দেয়। ভারতের ক্ষেত্রে ক্রয় বিষয়ে যেসব শর্তাবলী সেগুলো অনেক সময় বাংলাদেশের জন্য বাস্তবসম্মত হয় না।’

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া রোববার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে ভারতের সঙ্গে করা ১০টি চুক্তি বাতিলের তথ্য দিয়েছিলেন। তিনি তার ভাষায় বাতিল হওয়া চুক্তির একটি তালিকাও ওই পোস্টে দেয়া হয়েছিল।

কিন্তু আজ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বললেন, ‘যে তালিকাটা এসেছে, এটা কোনো একজন দিয়েছেন, সার্কুলেট (প্রচার) করেছেন। সেটা সম্ভবত কোনো একজন অ্যাডভাইজার রিটুইট করেছেন। তার একটা কমেন্টসহ। কমেন্টটা নিয়ে আমি কোনো কমেন্ট করতে চাই না। হয়তো এটা উনি না করলেও পারতেন। এখন যে তালিকাটা এসেছে ওখানে, এটা সঠিক নয়। এর অধিকাংশ (তালিকার চুক্তি) এক্সিস্ট করে না।’

আরও পড়ুন:

তি‌নি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে যেসব চুক্তি বাতিলের কথা হচ্ছে তার অনেকগুলো বাস্তবে নেই। এ তালিকার অধিকাংশ চুক্তি বাস্তবে নেই। একটি চুক্তি আছে অনেক পুরোনো। আর কয়েকটি চুক্তি আছে যেগুলো পর্যালোচনার মধ্যে আছে, ঠিক ওই নামে নেই।’

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, টাগবোট কেনা নিয়ে একটি মাত্র চুক্তি বর্তমান সরকার বাতিল করেছে, কারণ ‘চুক্তিটি বাংলাদেশের জন্য লাভজনক নয়।’

আসিফ মাহমুদের পোস্টে দেয়া তালিকায় ফারাক্কাবাদ সংক্রান্ত প্রকল্পে বাংলাদেশের আর্থিক সহযোগিতা প্রস্তাব ও পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন সম্প্রসারণ চুক্তি বাতিলের কথা বলা হলেও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলছেন, আর্থিক সহযোগিতা প্রস্তাব নামে কোনও ধরনের প্রকল্পই ভারতের সাথে নেই এবং পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন সম্প্রসারণের কোনও চুক্তিই হয়নি।

তিনি বলেন, ‘ফেনী নদীর পানি নিয়ে কোনও চুক্তিই নয়, আছে একটি সমঝোতা স্মারক এবং সেটি বহাল আছে। কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন প্রকল্প নামে কোনও প্রকল্প নেই।’

তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘একটি সমঝোতা স্মারক আছে। ২০২২ সালের এ স্মারক স্থগিত হয়নি। সিলেট-শিলচর সংযোগ প্রকল্প নামে কোনও প্রকল্প নেই। মোংলা বন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য পরিবহন, সেটা বাতিল হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘আদানি পাওয়ার চুক্তি পুনর্বিবেচনার জন্য আলোচনা হচ্ছে, আর গঙ্গা পানি বণ্টন চুক্তি নবায়নের আলোচনা হবে এবং এজন্য যোগাযোগ হচ্ছে। আগামী বছর এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে।’

আসু