হামিদুল হক মোহনের মৃত্যুর বিষয়টি তার ছেলে মিল্টন হক নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
মিল্টন হক বলেন, ‘টাঙ্গাইল-৬ (দেলদুয়ার-নাগরপুর) আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে প্রতিদিনের মতো সোমবারও গণসংযোগে বের হয়েছিলেন। দেলদুয়ার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করে বিকেলে দেউলী ইউনিয়নে পথসভা করে বাড়ি ফিরছিলেন। এমন সময় গাড়িতেই তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এ অবস্থায় টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
তার মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃত্যুকালে তার স্ত্রী, দুই ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি টাঙ্গাইল শহরের কলেজ পাড়ায় বসবাস করতেন। তবে তার গ্রামের বাড়ি জেলার দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের মঙ্গলহোড় গ্রমে। ৭১’র মুক্তিযুদ্ধে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
এদিকে, তার মৃত্যুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শোক জানিয়েছেন। আজ (মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে শোকবার্তা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন:
ফেসবুকে তারেক রহমান লেখেন, ‘টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হামিদুল হক মোহন গতকাল টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন।’
তিনি লেখেন, ‘হামিদুল হক মোহন একজন দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ ছিলেন। নিজ এলাকায় জনপ্রিয় নেতা হিসেবে তার সুনাম ছিল। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি শহিদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের নীতি ও আদর্শ এবং বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শনে গভীরভাবে আস্থাশীল ছিলেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সকল আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের নিকট ছিলেন সমাদৃত।’
তিনি আরও লেখেন, ‘তিনি ছিলেন অত্যন্ত উদার, সজ্জন ও বিনয়ী মানুষ। তার মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে ব্যথিত হয়েছি।’
তার মৃত্যুতে কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, ‘তিনি শুধু একজন রাজনীতিক ছিলেন না। তিনি ছিলেন আমাদের অনুপ্রেরণা, আমাদের ভরসার জায়গা। বিএনপির যেকোনো কর্মী যখন যেভাবে তাকে ডাকেছে, তিনি বিনা দ্বিধায় পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি ছিলেন আমার অত্যন্ত আপনজন। তার স্নেহ, পরামর্শ ও সাহস জুগিয়ে যাওয়ার শক্তি আমি কখনও ভুলব না। তার মতো নিবেদিতপ্রাণ, নিঃস্বার্থ ও আদর্শবান মানুষের শূন্যতা কখনও পূরণ হওয়ার নয়।’
তিনি বলেন, ‘টাঙ্গাইলের মানুষ, বিএনপি পরিবার এবং আমরা সবাই আজ একজন অভিভাবককে হারালাম। পরম করুণাময় আল্লাহ তাআলার দরবারে দোয়া করি, আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন এবং তার পরিবারকে এ শোক সইবার তৌফিক দিন।’





