স্মারকলিপিতে বলা হয়, শরীয়তপুর জেলার ভৌগোলিক, সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক ও প্রশাসনিক দিক থেকে ঢাকা বিভাগের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এ জেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম ঢাকার অংশ হিসেবেই পরিচালিত হয়ে আসছে। প্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগে শরীয়তপুরকে অন্তর্ভুক্ত করা হলে জনমানসে বিভ্রান্তি ও ভোগান্তি তৈরি হবে। একইসঙ্গে পরিচিত প্রশাসনিক কাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। জেলার উন্নয়ন, জনস্বার্থ রক্ষা এবং প্রশাসনিক কার্যকারিতার স্বার্থে শরীয়তপুর জেলা ঢাকার সঙ্গেই বহাল রাখা সমীচীন।
এ বিষয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, প্রি-নিকার বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে নিকার সভায় বিষয়টি উঠবে। সবার স্বার্থ ও ইতিবাচক দিকগুলো বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ভিপি আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই জেলা ঢাকা বিভাগের অংশ হিসেবে পরিচিত ও পরিচালিত হয়ে আসছে। আমাদের শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যাবসা-বাণিজ্য এবং সরকারি-বেসরকারি সেবার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সরাসরি ও নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। হঠাৎ করে ফরিদপুর বিভাগের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব কেবল মানুষের ভোগান্তিই বাড়াবে না, বরং আমাদের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আমাদের দাবি স্পষ্ট— শরীয়তপুরকে ঢাকার অংশ হিসেবেই রাখতে হবে। জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া হলে তা মেনে নেয়া হবে না।
উল্লেখ্য, গত ৮ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিপরিষদ সচিব আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রি-নিকার বৈঠকে ফরিদপুর ও কুমিল্লার নামেই দুটি নতুন প্রশাসনিক বিভাগ এবং নতুন দুটি উপজেলা গঠনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়।
প্রস্তাব অনুযায়ী ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলা নিয়ে ‘ফরিদপুর বিভাগ’ গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরের সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।





