ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম এরমধ্যেই প্রমাণ করেছে যে তারা সমাজ পরিবর্তনের চালিকাশক্তি। আমরা তাদের দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ করছি। তথ্যপ্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, নবায়নযোগ্য শক্তি, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য হলো, প্রত্যেক তরুণকে শুধুমাত্র চাকরি প্রার্থীর পরিবর্তে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা।’
তিনি বলেন, ‘এ উদ্দেশ্যে আমরা জাতিসংঘের সঙ্গে অংশীদারিত্বে, মাঠ পর্যায়ের তরুণদের সঙ্গে সরকারের শীর্ষ নীতিনির্ধারকদের যুক্ত করার একটি স্থায়ী মাধ্যম চালু করছি। এরমধ্যেই এ বিষয়ে সারাদেশে একাধিক পরামর্শ সভার আয়োজন করা হয়েছে। আজকের তরুণরা স্থানীয় পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণে অনলাইন ও অফলাইন ফোরাম, জরিপ এবং প্রচারণার মাধ্যমে তাদের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকতে চায়। তারা নেতৃত্ব বিকাশ, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং ডিজিটাল সক্ষমতা উন্নয়নের জন্য আরও বেশি সুযোগ চায়। তারা চায় এ প্রক্রিয়ায় জবাবদিহিতা অন্তর্ভুক্ত থাকুক, নিয়মিত অগ্রগতি প্রতিবেদন এবং অব্যাহত সংলাপের প্রতিশ্রুতি থাকুক। সর্বোপরি, প্রক্রিয়াটি হোক অন্তর্ভুক্তিমূলক যাতে নারী, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, প্রতিবন্ধী, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সকলের অংশগ্রহণ ও নেতৃত্বের সমান সুযোগ থাকবে।’
আরও পড়ুন:
তিনি আরও বলেন, ‘তরুণদের নিয়ে পরিকল্পনার ক্ষেত্রে এ বছরটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এ বছর আমরা বিশ্ব যুব কর্মপরিকল্পনার ৩০তম বার্ষিকী পালন করছি। শুধু বর্তমান প্রজন্মের তরুণদের চ্যালেঞ্জ নয়, এবছর সেজন্য ভবিষ্যতেও তারা যে সংকট ও সমস্যার মুখোমুখি হবে, তা অনুধাবন করে তার সম্ভাব্য সমাধান খুঁজে বের করবারও সুযোগ এনে দিয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির এ যুগে উন্নয়নশীল বিশ্বের তরুণদের জন্য আরও গভীর এক ডিজিটাল বিভাজন তৈরি হওয়ার ঝুঁকি আজ আমাদের একটি বড় উদ্বেগ।’





