আজ (রোববার, ৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের তার নিজ বাসভবন ‘সোনার বাংলায়’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, ‘রাজধানীর ৩২ নম্বরের মতো আমার বাসা ভেঙে যদি দেশে শান্তি আসে, তাহলে ভাঙার সমর্থন করছি। এ ঘটনায় আমি কোনো দলের নেতাকর্মীকে দোষারোপ করছি না। তবে এ ঘটনায় মামলা করা হবে।’ অপরদিকে বিকেলে বাসাইল উপজেলায় পূর্বঘোষিত মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে অংশ নেবেন বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তার ছোট ভাই শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকীসহ মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, গতকাল দিবাগত রাত একটার দিকে টাঙ্গাইল শহরের জেলা সদর সড়কের কাদের সিদ্দিকীর বাসা সোনার বাংলায় হামলা করে গাড়ি ও বাসার জানালার গ্লাস ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন:
বাসার কেয়ারটেকার রাজু মিয়া বলেন, ‘রাতে স্যার (কাদের সিদ্দিকী) দ্বিতীয় তলায় ঘুমাচ্ছিলেন। এসময় ১০ থেকে ১৫ জন দুর্বৃত্তরা বাসায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং মই দিয়ে বাসার গেট টপকে ভেতরে প্রবেশ করে দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এসময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।’
বাসাইলে কাদেরিয়া বাহিনী ও ছাত্র সমাবেশের ব্যানারে একইস্থানে পৃথক সমাবেশকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। শনিবার রাত রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. আকলিমা বেগম এ আদেশ জারি করেন। রোববার ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।
টাঙ্গাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানবীর আহাম্মেদ জানান, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে। দ্রুতই জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।





