ধর্ষণের শিকার জুলাই শহীদ জসিমের কন্যা লামিয়ার মরদেহ উদ্ধার

মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে স্বামী ও সন্তান হারিয়ে বাকরুদ্ধ শহীদ জসিমের স্ত্রী
মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে স্বামী ও সন্তান হারিয়ে বাকরুদ্ধ শহীদ জসিমের স্ত্রী | ছবি: এখন টিভি
0

জুলাই আন্দোলনে শহীদ জসিমের কন্যা লামিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর শেখেরটেক এলাকার ভাড়াবাসা থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্বজনরা বলছেন, গেল ১৮ মার্চ পটুয়াখালীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর মানসিক চাপ থেকেই আত্মহননের পথ বেছে নেন লামিয়া। খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে ছুটে আসেন বিএনপি, এনসিপির নেতাকর্মী এবং জুলাই ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা। দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।

জুলাই আন্দোলনে হারিয়েছেন স্বামীকে। আর এখন হারালেন আদরের কন্যা লামিয়াকে। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে স্বামী ও সন্তান হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন শহীদ জসিমের স্ত্রী। বাবার কবর জিয়ারত করতে গিয়ে পটুয়াখালীতে গেল ১৮ মার্চ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন জুলাই আন্দোলনের শহীদ জসিমের কন্যা লামিয়া।

এরপর নিয়মিত চিকিৎসা নিলেও মানসিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। স্বজনরা জানান, শনিবার দিবাগত রাতে রাজধানীর শেখেরটেক এলাকার ভাড়াবাসায় আত্মহননের চেষ্টা করেন তিনি।

পরে পুলিশ এসে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় স্বজনরা জানান, মামলা হলেও ধর্ষকদের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা প্রত্যাহার করতে প্রতিনিয়ত হুমকি দেয়া হয়।

দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি স্বজনদের।

স্বজনদের একজন বলেন, ‘ও তো গ্রামের বাড়িতে থাকতো। এক সপ্তাহ আগে আসছিল ডাক্তার দেখানোর জন্য। নিউরো সাইন্সে ডাক্তারও দেখিয়েছিল। আজকে বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল।’

আরেকজন বলেন, ‘আসামিপক্ষের যারা আছে তারা প্রভাবশালী।’

খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে ছুটে আসেন বিএনপি, এনসিপির নেতাকর্মী ও জুলাই ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা। এসময় তারা ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান ।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেন, ‘এদের ফাঁসি কার্যকর করতে হবে এবং মানুষের সামনে দৃশ্যমান হতে হবে। সেটা যদি পাবলিক প্লেসে করতে পারে সেই জায়গায় না পারলে সেটার ভিডিও ফুটেজ চোখের সামনে আসা উচিত।’

এ বিষয়ে আদাবর থানা পুলিশ বলছে, সুরতহাল সম্পন্ন হয়েছে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

ইএ