শুধু বিরোধী মত প্রকাশের কারণে যেকোনো পরিচয়ের একজন ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে যাওয়া। জীবিত কিংবা মৃত ফেরাটাই ছিল সৌভাগ্যের, আবার অনেকের মেলেনি হদিস।
জবাবদিহিতা না থাকায় দায় নেয়নি কোনো সংস্থাও। স্বৈরাচার আওয়ামী শাসনে সরকারি বাহিনীগুলোর এহেন কর্মকাণ্ডের অভিযোগ অনেক।
আজ (মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল) বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া নিয়ে আলোচনায় গুমের অভিজ্ঞতার কথা জানান ভুক্তভোগীরা।
গুমের বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির সময় নির্ধারণসহ আইনের ২১টি ধারা আরও শক্তিশালী করতে মত দেন আইনজীবীরা। আর গুম প্রতিরোধ আইন তৈরির আগে গুমের শিকার পরিবারের সঙ্গেও আলোচনা করার আহ্বান অ্যাটর্নি জেনারেলের।
বক্তাদের প্রশ্নে আইনের ব্যাখ্যা দেন গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিটির সভাপতি।
আর আইন উপদেষ্টা জানান, অন্তর্বর্তী সরকার গুম খুনের বিচারকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, 'আমি জানি বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে আপনাদের অনেক ধরনের উৎকণ্ঠা ও চিন্তা থাকে যে ইচ্ছাকৃত দেরী করা হচ্ছে কি না। এখানে চিফ প্রসিকিউটর আছেন, আমার মনে হয়না এইক্ষেত্রে আমাদের কোনো গাফিলতি আছে। আমি আপনাদের নিশ্চিৎ করতে চাই যে এটা আমাদের কাছে অগ্রাধিকারে আছে।'
গুম প্রতিরোধ আইনের ২১টি ধারার সাক্ষী সুরক্ষা, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও দায়ী ব্যক্তিকে বিচারের আওতায় আনতে কমিশনকে আরও সাহসী হওয়ার পরামর্শ বক্তাদের।