আর্থনা সামিট ২০২৫-এ উষ্ণ অভ্যর্থনায় সিক্ত হল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সম্মেলনের প্রথম দিনে মূল বক্তা হিসেবে ২০ মিনিটের বক্তব্যে জলবায়ু পরিবর্তনসহ বৈশ্বিক নানা ইস্যু তুলে ধরেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্যে, সহনশীল, সমৃদ্ধ এবং টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে তাঁর স্বপ্নের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, 'বহুত্ববাদ হুমকির মুখে, দ্রুততর হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত, বাড়ছে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং গভীর হচ্ছে মানবিক সংকট।'
এমন প্রেক্ষাপটে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতার পুনরুজ্জীবন আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সামিটে বক্তব্য দেয়া ছাড়াও কাতারের আমিরের মা ও কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শেখ মোজা বিনতে নাসেরের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।
সম্মেলনের সাইডলাইনে বৈঠক হয় কাতার সরকারের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিদের সাথে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, কাতারের এলএনজি সেক্টরে আওয়ামী লীগ সরকারের রেখে যাওয়া আরো ৩৭ মিলিয়ন ডলার ঋণ বকেয়া আছে। দুই একদিনের মধ্যে এই ঋণ পরিশোধ করবে অন্তর্বর্তী সরকার।
প্রেস সচিব বলেন, 'আমরা কাতার থেকে প্রচুর এলএনজি কিনতাম। পতিত সৈরাচার সরকার কয়েকশ' মিলিয়ন ডলার ওনাদেরকে পে করেননি। এখন এটা পে করার রেসপনসিবিলিটি আমাদের এই অন্তর্বর্তী সরকারের ঘাড়ে এসে পড়ে। আমরা মোটামুটি সবই পে করেছি, এখন প্রায়৩৭ মিলিয়ন ডলার বাকি আছে। সেটা আগামী দু'একদিনের মধ্যে আমরা পে করে দেব।'
প্রেসসচিব জানান, বাংলাদেশ থেকে স্থায়ীভাবে সৈনিক নেবে কাতার। প্রথম ধাপে নেয়া হবে ৭২৫ জন। পর্যায়ক্রমে এই সংখ্যা বাড়তে থাকবে।
প্রেস সচিব আরও জানান, বর্তমানে বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ থাকা ভিজিট ভিসা পুনরায় চালু করাই প্রধান উপদেষ্টার কাতর সফরের অন্যতম লক্ষ্য।
এছাড়া এই সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রেস সচিব বলেন, 'ভিসা সংক্রান্ত যে জটিলতা, সেটাকে কীভাবে নিরসন করা যায়, আমরা সেটা নিয়ে কাজ করছি। আমরা আশা করছি, বাংলাদেশের সাথে কাতারের পারস্পারিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে এই সফরটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।'
চার দিনের সফর শেষে আগামী বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দেশে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা।