সম্মুখ সারিতে থেকে যে নারী ঝুঁকি নিলো পুরো জুলাই আন্দোলনে, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সে নারীকে ধর্ষণের মতো অবমাননা।
বোনের শ্বশুরের মতো অভিভাবকের হাতে মাগুরার ছোট্ট মেয়ে আছিয়া যে নির্মমতা, পাশবিকতার শিকার তার প্রতিক্রিয়ায় নতুন আত্মপ্রকাশ করা এনসিপির এই বিক্ষোভ। সূচনা বক্তব্যে দলটির উত্তরাঞ্চল বিষয়ক মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম জানান, জুলাই পরবর্তী বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রী হেনস্তা কিংবা অপরাধীকে জামিনের জন্য জোর করার যে ব্যাপারগুলো দেখা যাচ্ছে, তার বিপরীতে সরকারের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়।
সারজিস আলম বলেন, 'আমি স্পষ্ট করে আমাদের পার্টির পক্ষ থেকে বলতে চাই, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে এবং এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পুরো বাংলাদেশের প্রতিটি জায়গায় জনপরিষদ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের বোনেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।'
পরে একে একে বক্তব্য দেন নারী নেত্রীরা। জুলাই আন্দোলনের শহীদের সহধর্মিনীরা আক্ষেপ করেন, এ দেশ নারীদের মর্যাদা না দিলে তারা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে।
একজন নারী বলেন, 'আমরা নারীরা ফ্যাসিবাদের পতনের সময় যেমন মিছিলের প্রথম সারিতে থেকে আন্দোলন করে গেছি এখনও আমরা রাজপথে থেকে আন্দোলন করে যাবো।'
সমাপনী বক্তব্যে দলটির শীর্ষ নেতা সামান্তা শারমিন জানান, নানাভাবে নারীদের হেনস্তা করার অংশ হিসেবে অভ্যুত্থানে তাদের অবদানও অস্বীকার করা হচ্ছে।
সামান্তা শারমিন বলেন, 'আমাদের যে ধারাবাহিক সংগ্রাম আছে, নারীদের যে ধারাবাহিক সংগ্রাম আছে সেটাকে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। অভ্যুত্থানের প্রতিটি দাপে নারীরা তাদের যে ভূমিকা দেখিয়েছেন, তারপরও অভ্যুত্থানের পর আমরা দেখতে পাচ্ছি এটাকে অস্বীকার করার পাঁয়তারা চলছে। নারীদের ভূমিকা শুধু নারীদেরকেই বলতে হবে এই জায়গা থেকে আমাদের সরে আসতে হবে।'
অনতিবিলম্বে ধর্ষক ও মব তৈরিকারী দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয় এই বিক্ষোভ থেকে।