নির্যাতনের অভিযোগ শুনে সম্মেলনেই ওসি প্রত্যাহারের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

নির্যাতনের অভিযোগ শুনে সম্মেলনেই ওসি প্রত্যাহারের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
নির্যাতনের অভিযোগ শুনে সম্মেলনেই ওসি প্রত্যাহারের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার |
0

ভারত ও বাংলাদেশ বাহিনীর প্রধানদের মধ্যে আলোচনার পরও সীমান্ত হত্যা বন্ধ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আর, সীমান্ত হত্যা বন্ধে আরও কঠোর হবেন জানিয়ে বিজিবি মহাপরিচালক বলছেন, কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে সীমান্তে না ঘেঁষলে আপাতত নিরাপত্তায় কোনো ঘাটতি নেই। কক্সবাজারের উখিয়ায় নতুন ব্যাটালিয়ন উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন তারা।

মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের মোট ২৭১ কিলোমিটার সীমান্তের ৪০ কিলোমিটার উখিয়ায়। অঞ্চলটিকে এতদিন সুরক্ষিত রাখতে সীমান্তে দায়িত্ব পালন করেছে টেকনাফ, রামু ও কক্সবাজারের একাধিক ব্যাটালিয়নের ৭টি আলাদা ইউনিট। তাই, সীমান্তে অস্থিরতা বাড়ায় বেশ কিছুদিন ধরেই উখিয়ার নিজস্ব একটি ইউনিট চালু করার কথা ভাবছিল বিজিবি।

আজ (শনিবার, ১ মার্চ) কক্সবাজারে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে নবগঠিত উখিয়া ব্যাটেলিয়ন ৬৪ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। বলেন, নতুন ব্যাটালিয়ন গঠনের ফলে উখিয়া সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার হবে। বিডিআর সদস্যদের শত সীমাবদ্ধতার মধ্যেই দেশের জন্য কাজ করার আহ্বান তার।

এ সময় কক্সবাজারের চকরিয়া থানার ওসি মনজুর কাদের ভূঁইয়াকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

জানা গেছে, ওসির বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ দেন আলম নামের এক স্থানীয় সংবাদকর্মী। তিনি জানান, তাকে থানায় আটক করে নির্যাতন করা হয়েছে।

সংবাদকর্মীর এমন অভিযোগের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবীব পলাশকে ফোনকলের মাধ্যমে অভিযুক্ত ওসিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এ সময় দলীয় বিবেচনায় কাজ না করতে পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় বিএসএফের গুলিতে যুবক হত্যা নিয়ে প্রশ্ন করলে উপদেষ্টা বলেন, আলোচনার পরেও গুলি বন্ধ করছে না বিএসএফ।

এসময় বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো বাংলাদেশি মিয়ানমার সীমান্তে না গেলে নিরাপত্তারও কোনো ঘাটতি নেই। তবে বাংলাদেশের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী সব দেশের সীমান্ত হত্যা বন্ধে আরো কঠোর হবে বিজিবি।’

উখিয়া সীমান্তের নিরাপত্তায় কাজ করবেন জওয়ান থেকে কর্মকর্তা প্রায় ৮০০ সদস্য। এছাড়াও একই দিনে পতাকা উত্তোলন করা হয়, গার্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও ব্যাটালিয়নগুলোর ঢাকার স্টেশন সদর দপ্তর। নিরাপত্তা জোরদার করতে গাজীপুরের ডগ স্কোয়াড কে-৯ ইউনিট অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারেরও উদ্বোধন করা হয়।

এএইচ