দরজায় কড়া নাড়ছে মাহে রমজান। তার আগে শেষ সাপ্তাহিক ছুটির দিন। রাজধানীর বাজারগুলোতে তাই ক্রেতাদের ভিড় অন্য যেকোনো দিনের চেয়ে বেশি। মাসের শেষে পকেটে টান থাকলেও, রমজানের কেনাকাটা করতেই বাজারে বেশিরভাগ ক্রেতা।
অন্যান্য যেকোনো দিনের চেয়ে বাজারে রোজার পণ্য হিসাবে পরিচিত ছোলা, বুট, বেসন, চিনি, পেঁয়াজ, আলুসহ জরুরি পণ্যের চাহিদাই সবচেয়ে বেশি। ক্রেতারা বলছেন, বিগত বছরগুলোর তুলনায় রমজানের পণ্য ক্রয় করে খুশি তারা, কারণ দাম নাগালের মধ্যেই।
একজন ক্রেতা বলেন, 'আমি আজকে পেঁয়াজ নিয়েছি ৪০ থেকে ৪২ টাকা কেজি। আলু, বেগুনের দাম ওইভাবে বাড়েনি। এর আগে প্রতিবছর যেভাবে দাম বাড়তো সেভাবে দাম বাড়েনি।'
এদিকে বিক্রেতারা বলছেন, বাজারের পণ্য সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল আছে। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে চিনি, ছোলা, বুট, বেসনসহ অন্যান্য পণ্য। তবে বাজারে রয়েছে সয়াবিন তেলের সংকট।
একজন বিক্রেতা বলেন, 'দাম সবকিছু আগের দামেই আছে, কমেই আছে দাম। বাহারে তেলটাই একটু কম, বাকি সবকিছুই আছে।'
এদিকে মাংস ও সবজির বাজারে কিছুটা দাম বেড়েছে। পেঁয়াজ কেজি প্রতি বেড়েছে দুই টাকা। আর সামাজিক অনুষ্ঠান বৃদ্ধির ফলে কিছুটা বেড়েছে খাসির মাংসের দাম। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে গরুর মাংসের দাম।
একজন বিক্রেতা বলেন, 'গুরু মাংসের দাম একই আছে। কিন্তু খাসির চাহিদা বেশি। এখন সবজায়গায় খাসির চাহিদা বেশি। খাসির দাম কয়েকমাস ধরেই আগের চেয়ে ১০০ টাকা বাড়ছে।'
বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে বাজার তদারকির দাবি জানান ক্রেতারা।
অন্যদিকে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম বাজার ভেদে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে।