সারাবছর যেনতেন রমজান মাস এলেই পাল্টে যায় সারা দেশের সড়ক-মহাসড়কের চালচিত্র। পণ্য পরিবহন থেকে শুরু করে ঈদের যাত্রী পরিবহন- সবকিছুতে আসে ভিন্ন গতি ও ব্যস্ততা৷
অর্থনৈতিক বলয়ের এ ইতিবাচক সময়ে নেতিবাচক ছাপ সড়ক নিরাপদ-যানজটমুক্ত আর ভোগান্তির প্রশ্নে। যা নিয়ে বরাবরই রোজা ও ঈদ ঘিরে নতুন পরিকল্পনা সাজাতে বসেন সরকারের সব মহল।
গেল দুটি ঈদযাত্রা ভোগান্তিহীন ছিলে বলে দাবি পরিবহন সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর। যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদনও বলা হয়েছে, বিগত সময়ের তুলনায় গত ঈদে সড়কে মৃত্যুর মিছিল কম ছিল ১৮.২ শতাংশ।
তবে এবারে রমজানে যানজট হতে পারে, এমন শঙ্কায় শতাধিক যানজট ও দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা নির্ধারণ করেছে মন্ত্রণালয়। তাই ঈদে যাতায়াত নিরাপদ রাখতে মন্ত্রণালয়গুলো সহায়তা চাইল জেলা প্রশাসকদের।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ. বি. এম. আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, 'সড়ককে নিরাপদ করতে হবে। সড়ক নিরাপত্তা কমিটি আছে প্রতিটি জেলায়। আমি তাদেরকে অনুরোধ করি অন্তত মাসে দুইটা করে সড়ক নিরাপত্তা কমিটির সভা করে- কী কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে, কেন ঘটে এগুলো বিশ্লেষণ করে জানালে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারি।’
বরাবরের মতো সংযোগকে গুরুত্ব দিয়ে প্রতি বছরই নতুন নতুন ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিচ্ছে সরকার। পদ্মা সেতু আর কর্ণফুলী টানেল যাতায়াতের সাথে এনেছে এলাকাগুলোর অর্থনৈতিক গতিশীলতা। এবারও তাই ডিসি সম্মেলনে নতুন ব্রিজ, সড়ক সম্প্রসারণের প্রস্তাব ছিলে হল জুড়ে।
সেতু সচিব মো. মনজুর হোসেন বলেন, 'আমাদের মাস্টার প্লান রয়েছে। ২০৫০ সাল পর্যন্ত অবজেক্ট করে আমরা কিছু প্রজেক্ট আইডেন্টিফাই করছি, যেন কোন জায়গায় ব্রিজ, টানেল, ওভারপাস করার দরকার হতে পরে সেতু বিভাগে। আমাদের যেহেতু মাস্টার প্লান প্রজেক্ট এই বছরের ডিসেম্বরে শেষ হবে। আমরা আশা করছি, ডিসেম্বরের মধ্যে এ বিষয়গুলো আইডেন্টিফাই করতে পারব।’
ঈদে সড়ক ছাড়াও রেলে থাকে বাড়তি চাপ। সাশ্রয়ী ও নিরাপদ যাত্রায় এবার রেল লাইন সম্প্রসারণ, স্টেশন, রেল ক্রসিং নিরাপদ করার দাবি এসেছে ৭টি। যার বেশিরভাগই ময়মনসিংহ থেকে। তবে মানুষের কাছে রেল সেবা পৌঁছে দিতে রেল সম্প্রসারণে জমি অধিগ্রহণ ও দখলে থাকা রেলের জমি উদ্ধারে জেলা প্রশাসকদের সহায়তা চেয়েছে মন্ত্রণালয়।





