বগুড়ার গাবতলীর পোড়াদহে ঐতিহ্যবাহী মাছ মেলা বা জামাই মেলা কয়েকশ' বছর ধরে হয়ে আসছে। যা ঘিরে এলাকার কয়েক কিলোমিটার জুড়ে রাস্তার মোড়ে মোড়ে বসে মাছের দোকান। এলাকার জামাইরা মেলা থেকে বড় বড় মাছ কেনার রেওয়াজ থেকে এ মেলার শুরু হয় বলে জানা যায়। অনেকে দূর দূরান্ত থেকে মেলায় মাছ কিনতে আসেন।
এক ক্রেতা বলেন, 'এ মেলায় ৪০ থেকে ৪২ কেজি মাছ কেনে সবাই। জামাই, শ্বশুর সবাই মাছ কিনতে আসে। এখান থেকে আমিও ২৫ কেজি মাছ ২০ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে কিনেছি। এছাড়া মাংসও কিনেছি।'
সকাল থেকে মেলায় মাছ কেনাবেচা শুরু হয়। একদিনের মেলায় বিক্রি হয় অন্তত ৪০ থেকে ৫০ টন মাছ, যা টাকার অঙ্কে প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এছাড়া মাংস, মিষ্টি, কাঠের খাট-পালংসহ অন্যান্য জিনিসের বেচাকেনা বেশ ভালো হচ্ছে বলে জানান মেলার বিক্রেতারা।
বগুড়ার পোড়াদহ মেলায় মাছ নিয়ে এসেছেন বিক্রেতারা। ছবি: এখন টিভি
এক বিক্রেতা বলেন, '১৫ কেজি ওজনের ব্রিগেড মাছ আছে, সেটা ৭০০ টাকা কেজি। আমার দোকানে প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো। মাছ ছাড়াও যে মাংসের দোকানগুলো আছে সেখানে ৩০ থেকে ৩৫টি গরুর মাংস বিক্রি করা হয়। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার বেচাকেনা হয়।'
কেনাকাটা ছাড়াও অল্প বয়সের ছেলে-মেয়েদের জন্য রয়েছে খেলাধুলা ও নাগরদোলাসহ আনন্দ বিনোদনের নানা উপকরণ। এসব দেখে শিশুরাও আনন্দিত।
লেদা প্রামাণিক নামের স্থানীয় একজন প্রবীণ বলেন, 'আমাদের পূর্বপুরুষের আমল থেকে এ মেলা হয়ে আসছে। দাদার সাথে আমরা ৬ ভাই একসাথে এ মেলায় আসতাম। এখনও এ মেলা আগের মতোই জমজমাট হয়।'
প্রতি বছরের মাঘ মাসের শেষ বুধবার এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। দুই দিনব্যাপী এই মেলায় অন্তত ৫ কোটি টাকার লেনদেন হবে বলে মনে করছেন আয়োজকরা।





