ঘুম ঘুম আলসেমিতে চারদিকে চোখ বুলাই। সাতমাথায় রাতজাগা চায়ের দোকানগুলো ঢাকা থেকে আসা মানুষে টইটুম্বুর। সবাইকে বসতে দেবার মতো জায়গাও নেই রাতের দোকানীদের। দিনের আলো ফোটার পরই এদের বিকিকিনি শেষ। বেশিরভাগই দাঁড়িয়ে গরম চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছেন। কেউ কেউ গরম পরোটা, ভাজি, ডিম ভাজা, মিষ্টি খাচ্ছে। আবার অনেকে কুয়াশা কেটে ভোরের আলো ফোটার অপেক্ষায় রয়েছে। চারপাশে অনেকগুলো অটো থাকলেও এত্ত সকালে গন্তব্যের পথে যাবার জন্য যাত্রীদের মধ্যে অটোতে চড়ার কোনো তাড়াই চোখে পড়ে না। কে জানে কেন! হতে পারে, ঠান্ডা বা অনিরাপদ জনপদ! আমরা গরম চায়ের কাপ হাতে নিয়ে আমাদের অটো চালক সালামের জন্য অপেক্ষা করি।
সালাম ক্ষাণিক বাদেই পৌঁছে যায়। আমরা উঠে বসি ওর অটোতে। সালাম ছুটে চলে দ্রুত। আজ ওর অনেক তাড়া। ভোর চারটা থেকে ও ট্রিপ মারা শুরু করেছে। আরও লোকজন অপেক্ষা করছে ওর জন্য। সবারই গন্তব্য মেলা। একটার পর একটা কল আসছে ওর মুঠোফোনে। গাড়ি চালাতে চালাতে খুশিমনে জানালো, ইতোমধ্যে ৪০০ টাকা ভাড়া পেয়েছে। আজ তার টার্গেট অন্তত ২ হাজার টাকা। মিনিট পনেরোর মধ্যে আমরা পৌঁছে যাই ধোড়া গ্রামে, আমাদের গন্তব্যে। আমাদের নামিয়ে সালাম দ্রুতই চলে যায়।
প্রকৃতি একটু একটু করে তার খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে। ঘরের বারান্দায় উঠে টের পাই, টিনের চালে কুয়াশার শব্দ, টপ...টপ...টপ। চারিদিকে বিভিন্ন নাম না জানা পাখির কিচিরমিচির। অপরিচিত শহুরে মানুষ দেখে ওরা অবাক! কতদিন পরে এমন ভোরে ঘরের বাইরে, তাও আবার গ্রামে! ইতোমধ্যে খুব সামান্য হলেও আলো ফুটতে শুরু করেছে। যদিও কুয়াশার জন্য সূর্যের দেখা মিলছে না।
কুশল বিনিময়, এটা সেটা গল্প, জামা কাপড় পাল্টানো, প্রাকৃতিক কাজ-কর্ম সেরে হালকা নাস্তা আর চায়ে চুমুক দেই আমরা। তারপর বেরিয়ে পড়ি বাড়ির চারপাশ দেখতে। পাশ দিয়ে যাবার সময় পুকুরে মাছেদের লুটোপুটি টের পাই। ক্ষেত জুড়ে ফুল আর পাতা কপি চাষ করা। পাশেই পেঁপে আর কলা বাগান। তার ডানে বগুড়ার বিখ্যাত আলুর ক্ষেত। সারি সারি আলু শুয়ে আছে মাটির নিচে। শীতে যেমন আমরা লেপ বা কম্বলের নিচে শুয়ে থাকি! আরও দিন দশেক পরে ওদেরকে তোলা হবে। বাড়ির একদম পশ্চিমে বেশ কয়েকটা বরই গাছ। কাছে গিয়ে অবাক হই, প্রতিটি বরইয়ের আধা লাল, বাকী আধা সবুজ। একেকটি বরই যেনে বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি! প্রকৃতির কী অপরূপ সৃষ্টি! এগুলোর নাম আপেল কুল বলে জানা গেলো। ঘরে ফিরে ক্ষাণিক বিশ্রামের নামে আমাদের চারজন ঘুমিয়ে পড়লো। জেগে রইলাম আমরা তিনজন। বিশ্রাম নেবার ঝুঁকিতে না গিয়ে নাস্তা খেয়ে বেরিয়ে পড়ি মেলার পথে।
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক। তার লেখা উপন্যাস 'খোয়াবনামা' বাংলা সাহিত্যে এক অমূল্য সংযোজন। খোয়াবনামা উপন্যাসটি না পড়া পাঠকের সংখ্যা নেহায়েত কম। উপন্যাসের প্রেক্ষাপট প্রধানত ১৯৪৭ সালের বঙ্গভঙ্গ এবং এর সামান্য আগের ও পরের সময়কাল নিয়ে। উপন্যাসে বগুড়া গাবতলীর একটি ক্ষুদ্রাকার ও প্রত্যন্ত জনপদের কাহিনী বিস্তৃতিলাভ করেছে। প্রত্যন্ত এই অঞ্চলের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে একটা বিল, যার নাম কাৎলাহার। আর এই কাৎলাহার বিলকে ঘিরে গড়ে উঠেছে গিরিরডাঙা, নিজগিরির ডাঙা, গোলাবাড়ি হাট, আরানীপাড়া, ধোড়া, মহিষাবান গ্রামগুলো।
প্রত্যন্ত এইসব জনপদে প্রাচীনকাল থেকে চলে আসা ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ বিষয়ক বিভিন্ন শ্রুতি বা লোককথা, জোতদারি সমাজব্যবস্থা, তেভাগা আন্দোলন, দেশভাগ ও মুসলিম লীগের রাজনীতি, হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক সম্পর্ক ও সংকট ইত্যাকার বিষয় 'খোয়াবনামা'র মূল উপজীব্য। বাস্তবতার প্রয়োজনে এর কাহিনীতে যুক্ত হয়েছে সাধারণ গ্রাম্য মানুষের অসহায়ত্ব, কাম, ক্ষোভ, ধর্মীয় ও জাতিগত বিদ্বেষ। খোয়াবনামার সেই কাৎলাহার বিল আর বিলের আশেপাশের মাটি, মানুষ, ঝিল, নদী, জঙ্গল, জন্ম, মৃত্যু, প্রেম, লোভ, ঘৃণা, দ্বন্দ্ব এসব মানবিক ও প্রাকৃতিক বিষয়, প্রসঙ্গ, আবহ, অতীত আর বর্তমান পাঠক হৃদয়ের সঙ্গে এমনভাবে মিলেমিশে রয়েছে যে, এর পুরো ব্যাপারটা বুদ্ধি দিয়ে বিশ্লেষণের চেয়েও বেশি হচ্ছে উপলব্ধি করার।
সেই উপলব্ধির নেশা থেকেই আমাদের কয়েকজনের এবারের কাৎলাহার বিল দেখতে যাওয়া। সে বিলে মাঘের শেষ বুধবার অনুষ্ঠিত হয় হরেক নামের এক মেলা। কেউ বলেন, 'পোড়াদহ মেলা'। কারো মতে 'জামাই মেলা' বা 'বউ মেলা'। আবার 'মাছের মেলা' বা 'সন্নাসী মেলা'ও বলে থাকেন কেউ কেউ। বাংলাদেশের গ্রামে গঞ্জে, বিভিন্ন উপলক্ষে অনেক মেলা হয়। কিন্তু একই মেলার এত বেশি রকম নাম আর কোনো মেলায় আছে বলে শুনিনি। মেলা দেখতে যাবার পেছনে এটাও একটা কারণ ছিলো আমাদের। সংখ্যায় আমরা ছিলাম সাত। মানে সাতজন যাত্রী।
প্রায় ৪০০ বছর পূর্বে পোড়াদহ সংলগ্ন মরা মহিষাবান নদীতে প্রতিবছর মাঘের শেষ বুধবারে অলৌকিকভাবে বড় একটি কাতলা মাছ সোনার চালুনি পিঠে নিয়ে ভেসে উঠতো। মাঘের শেষ বুধবারের এ অলৌকিক ঘটনা দেখার জন্য প্রচুর লোক জড়ো হতো। পরে স্থানীয় একজন সন্ন্যাসী স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে অলৌকিক এ মাছের উদ্দেশ্যে অর্ঘ্য নিবেদনের জন্য সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেন। সন্ন্যাসীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে পোড়াদহ বটতলায় মাঘের শেষ বুধবারে অলৌকিক মাছের উদ্দেশ্যে স্থানীয় লোকজন অর্ঘ্য নিবেদন শুরু করেন। কালক্রমে এটি সন্ন্যাসী পূজা নামে পরিচিত হয়। আবার পোড়াদহ নামক স্থানে মেলাটি হয় বলে স্থানের নাম অনুসারে পোড়াদহ মেলা নামেও পরিচিতি পেয়ে যায়। মেলা উপলক্ষে আশেপাশের গ্রামের নাইওরিরা তাদের জামাই নিয়ে বাপের বাড়িতে হাজির হয় বলে, অনেকে একে জামাই মেলাও বলে। আবার মেলায় বিশাল আকৃতির হরেক প্রজাতির মাছ পাওয়া যায় বলে, একে মাছের মেলাও বলে। বিভিন্ন জন বিভিন্ন নামে ডাকলেও কাগজে-কলমে এটি মূলত পোড়াদহ মেলা নামেই সবার কাছে পরিচিত।
ধোড়া গ্রামের খেতের আল ধরে ক্ষাণিক হেঁটে, তারপর ভ্যান গাড়িতে চড়ে আমরা আধা ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যাই বিখ্যাত এবং কাঙ্খিত সেই মেলায়। দূরদূরান্ত থেকে ইতোমধ্যে শয়ে শয়ে মানুষ মেলায় আসা শুরু করেছে। কাল মধ্যরাত থেকে দোকানীরা মেলায় তাদের পসরা সাজিয়ে অপেক্ষা করছে। যদিও একদিনের মেলা, তারপরও স্থানীয়ভাবে সপ্তাহব্যাপী চলে মেলাকে কেন্দ্র করে উৎসব। মেলা উপলক্ষে প্রতিটি বাড়িতে আত্মীয় স্বজনরা এসে জড়ো হয়। আসে বাড়ির ঝিয়েরা, তাদের জামাইকে নিয়ে। চারিদিকে উৎসবমূখর অবস্থা।
এই মেলা শেষ হবার পরদিন একই স্থানে এবং আশেপাশের গ্রামে গ্রামে চলবে ছোট আকারের বউ মেলা। মূল মেলাটি সরকারি তত্বাবধানে আয়োজন করা হলেও বউ মেলা স্থানীয় গ্রামবাসীদের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়। গ্রামের যেসব মহিলা কাজের চাপে অথবা সামাজিক রক্ষণশীলতার কারণে মূল মেলায় যেতে পারেন না, তাদের জন্যই বিশেষ করে এই বউ মেলার আয়োজন বলে জানান স্থানীয়রা। বউ মেলার একটি বিশেষত্বের কথাও জানা যায়। এই মেলায় কেবল বিবাহিত নারীরা নিজ নিজ স্বামীর সঙ্গে মেলায় ঢুকে কেনাকাটা করতে পারেন। স্বামী ছাড়া অন্য কোনো নারী মেলায় ঢুকতে পারেন না। পুরুষদের তো প্রশ্নই আসে না!
মেলায় ঢুকে হতবাক হয়ে পড়ি। জীবনে এত বেশি সংখ্যক এবং বিশাল আকৃতির বিভিন্ন রকমের মাছ এক সঙ্গে দেখিনি। শয়ে শয়ে তাজা মাছ! সত্যি বলতে কী, মেলার প্রধান আকর্ষণই মনে হলো মাছ। ঘুরে ঘুরে দেখি।মাছ পাইকারদের সঙ্গে কথা বলে জানি, মেলায় আনা বিভিন্ন প্রজাতির বিশাল আকারের মাছগুলো প্রথমে ভোর বেলায় মেলার পাশে অস্থায়ী আড়ৎগুলোতে এসে জমা হয়। সেখান থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা মাছগুলো কিনে মেলার নিজ নিজ দোকানে নিয়ে যায়। দোকানগুলোতে দিনভর কেনাকাটা চলতে থাকে। বিভিন্ন প্রজাতির এসব মাছের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আইড়, রুই, কাতল, মৃগেল, বোয়াল, সিলভার কার্প, কালাবাউশ, পাঙ্গাস ইত্যাদি। মেলায় সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় 'বাঘা আইড়' মাছ। স্থানীয় ভাষায় যাকে বলে 'বাগাইড়' মাছ। মেলায় দশ কেজি থেকে শুরু করে আশি/নব্বই কেজি ওজনের বাঘা আইড়ও পাওয়া যায়। এবারের মেলার সর্বোচ্চ বড় বাগাইড় মাছটির ওজন ছিল ৮০ কেজি। এককভাবে কেনার মতো কোনো ক্রেতা না পাওয়ায়, এবারের বড় মাছটি কেটে ৫কেজি করে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১২০০ টাকা করে।এছাড়াও ১০ থেকে ১৫ কেজি ওজনের প্রচুর রুই, কাতল,পাঙ্গাস উঠেছে এবারের মেলায়। বিকেল নাগাদ সেগুলোর প্রায় সবই বিক্রি হয়ে যায়।
শুধু কী মাছ! বিচিত্র ধরনের জিনিসপত্রের দেখা পাই মেলায়। পোড়াদহ মেলার অন্যতম আরেকটি আকর্ষণ মিষ্টি। রসগোল্লা, সন্দেশ, জিলাপী, নিমকি, তিলের নাড়ু, খই, শুকনা মিষ্টি। সবচেয়ে আকর্ষণীয় হল বড় বড় মাছাকৃতির মিষ্টি। একেকটি মিষ্টি দেড় থেকে দুই কেজি ওজনের। মেলার এক পাশে কাঠের নকশা করা খাট, স্টিল ও লোহার বিভিন্ন ডিজাইনের আসববাপত্র। বাহারী পানের দোকানের দেখা পেলাম বেশ কয়েকটা। মসলাযুক্ত একেকটি পানের দাম ছিল ২০টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। মেলার একদম উত্তর পাশে ছোটদের জন্য নাগরদোলা, ঘোড়ার গাড়ি, সার্কাস ইত্যাদি। বড়দের জন্য ছিলো মটর সাইকেল খেলা, যাত্রাপালা এসব।
কাৎলাহার বিল জুড়ে হাজারো মানুষের পদধূলি। মাথার উপরে সূর্যের প্রখর উত্তাপের জ্বালা। সারা রাত বাস যাত্রা। একটু বিশ্রাম তো নেওয়া চাই! শরীর জানান দিলো, ক্ষুধার কথা। এবার ফেরার পালা। মেলা প্রান্তর থেকে সড়কে এসে বিপাকে পড়লাম। রিকশা ভ্যান, ব্যাটারি চালিত ইজি বাইক, অটো আর মটর সাইকেল রয়েছে কিছু। কিন্তু মানুষ রয়েছে হাজার হাজার। কেউ মেলায় ঢুকছে। কেউবা মেলা থেকে ফিরে যাচ্ছে। অগত্যা কোনো বাহন না পেয়ে হাঁটা ধরলাম। কিলো দুয়েকই তো হাঁটতে হবে। কিন্তু হাঁটতে গিয়ে মানুষের শরীরের থাক্কা, রাস্তার ধুলো আর গাড়ির হর্নের আওয়াজে প্রাণ অতিষ্ট। তারপরও 'উপায় নেই, গোলাম হোসেন'। কিছুটা ভ্যানে, বাকীটা হেঁটে এক সময় ধোড়া গ্রামে পৌঁছে যাই। মাইকে আশেপাশের বাড়ির মসজিদ থেকে আসরের আজান ভেসে আসে। মাথার উপর থেকে এবারে সূর্যের অবস্থান আকাশের পশ্চিম প্রান্তে। একটু পরেই টুক করে বাড়ি ফিরে যাবে সূর্যিমামা। আজকের মতো তার ডিউটি শেষ।
দুপুরের খাবার বিকেলবেলা খাই। তারপর শরীর নামের মেশিনকে একটু বিশ্রাম দেবার চেষ্টা। লেপের নিচে শুয়ে মনে হলো, পোড়াদহের এই মেলা এখন আর স্থানীয়দের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। প্রযুক্তিগত কারণে সারা বিশ্বের মানুষ এখন জানে। ঢাকাসহ সারা দেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ এসেছে একদিনের এই মেলাকে কেন্দ্র করে। অথচ এতগুলো মানুষের যাতায়াতের জন্য নেই তেমন কোনো ব্যবস্থা। এই ব্যাপারে মনে হয় প্রশাসনের আরো বেশি নজর দেওয়া দরকার। বিশেষ করে বগুড়া থেকে গাবতলী হয়ে পোড়াদহে হাজার হাজার মানুষ আসা-যাওয়ার জন্য প্রচুর যানবাহনের ব্যবস্থা করা দরকার।
ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই প্রশাসনের লোকজন স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে একটা 'মেলা উদযাপন কমিটি' বানাবে। সবার সার্বিক অংশ গ্রহণ আর সহযোগিতায় এই মেলা হয়ে উঠবে সার্বিকভাবে সফল। প্রশাসন আরেকটি ব্যাপার নিয়ে ভাবতে পারেন। মূল মেলা বুধবারে ঠিক রেখে মেলার মেয়াদ আরও দুদিন বাড়াতে পারেন। একদিন আগে এবং একদিন পরে। তাতে মেলা দেখতে আসা লোকজনের চাপ কমবে। মেলায় বিভিন্ন পণ্য নিয়ে আসা ব্যবসায়ীরাও তাদের খরচ তুলতে পারবেন। প্রথম দিনের অবিক্রিত মাছগুলো দ্বিতীয় দিনেও মানুষ কিনতে পারবেন। যাত্রা পথের ভোগান্তি থেকে রেহাই পাবেন, বিভিন্ন জেলা থেকে মেলা দেখতে আসা উৎসাহী মানুষেরা।





