উত্তরাঞ্চলে নতুন শিল্প-কারখানা চান ভোটাররা

0

স্বাধীনতার পর দেশের উত্তরাঞ্চলে কিছু ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গড়ে উঠলেও ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়নি। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি জ্বালানি সংকট মেটায় এ অঞ্চলে ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান তৈরির পথ সুগম হয়েছে বলে মনে করেন ব্যবসায়ী ও জনপ্রতিনিধিরা।

যমুনা নদীতে বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের পর ধীরে ধীরে এ অঞ্চলের পরিবর্তন শুরু হয়। তারপরও সেই অর্থে বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলে শিল্পায়ন হয়নি। রংপুরের হিমাগার, নীলফামারীর হালকা প্রকৌশল শিল্প ও দিনাজপুরের চাতালকল শিল্পের মাঝেই এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য আটকে আছে।

রংপুর বিভাগের মধ্যে নীলফামারী জেলা ব্যবসার কেন্দ্রবিন্দু, অভ্যন্তরীণ ব্যবসার পাশাপাশি রপ্তানিমুখী বাণিজ্যও ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে এই এলাকা। ইপিজেডের পাশাপাশি কিছু গার্মেন্টস পণ্য, গৃহস্থালি সামগ্রী ও শুঁটকি নিয়মিত পার্শ্ববর্তী দেশে যাচ্ছে। কিন্তু নির্দিষ্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল না থাকায় এসব ব্যবসার পরিধি বাড়ছে না।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আলাপ-আলোচনায় এসব সমস্যার কথা উঠে আসছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা প্রত্যাশা করছেন শিল্প-বাণিজ্যের প্রসারে আগামীর জনপ্রতিনিধিরা উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।

নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি প্রকৌশলী এস এম সফিকুল আলম বলেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের জনপ্রতিনিধিরা এ অঞ্চলের উন্নয়নে আরও বেশি আগ্রহী হবেন। এতে করে নতুন শিল্প-কারখানা স্থাপনের পাশাপাশি স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার হবে।’

সম্প্রতি উত্তরাঞ্চলে গ্যাস এসেছে। দ্রুত যেন শিল্প-কারখানায় সংযোগ দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয় সেই দাবি জানিয়েছেন রংপুরের ব্যবসায়ী নেতারা।

জাতীয় পার্টি মনোনীত নীলফামারী-৪ আসনের প্রার্থী আদেলুর রহমান আদেল বলেন, আমাদের এই অঞ্চল কৃষিনির্ভর। তাই কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা কাজ করবো।

আওয়ামী লীগ মনোনীত দিনাজপুর-৬ আসনের প্রার্থী মো. শিবলী সাদিক বলেন, চার লেন ও ছয় লেনের কাজ চলমান আছে, দ্রুতই শেষ হবে। নির্বাচন পরবর্তী সময় এ অঞ্চলে পরিকল্পিতভাবে নতুন নতুন শিল্প-কারখানা তৈরি হবে। এতে বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থান হবে।