ছাড়
বাজার
রমজানে বেড়েছে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের চাহিদা
রোজা-ঈদ আর গ্রীষ্ম সব বিষয় মাথায় রেখে ঈদমার্কেটে কেনাকাটায় ক্রেতারা ঝুঁকছেন ইলেকট্রনিক্স পণ্যের দিকে। পণ্য কিনে নানা সুবিধা ও মিলিয়নিয়ার হওয়ার স্বপ্নে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজারগুলোয় ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে পৌঁছেছে দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন। মূল্য পরিশোধের সহজ শর্ত, হোম-ডেলিভারি, ওয়ানস্টপ সলিউশনের মত একাধিক সুবিধা থাকায় গ্রাহকরা ভিড় করছেন শো-রুমে।

সারাদেশের মতো চাঁপাইনবাবগঞ্জেও চলছে ওয়ালটনের মিলিয়নিয়ার অফার। পাশাপাশি ৬০টি পণ্যে ক্রয় সুবিধায় আছে ইএমআই, কিস্তি, ৪ থেকে ৬ মাসের মূল্য পরিশোধ সুবিধা। ফলে পৌরনগরীর শিবতলা মোড় ও বড়ইন্দারা এলাকার ওয়ালটন সেন্টারগুলোয় দেখা যায় সব শ্রেণির ক্রেতাদের ভিড়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের বড়ইন্দারা এলাকার ওয়ালটনের ব্যবস্থাপক মো: মাজেদুর রহমান বলেন, ' মিলিয়নিয়ার অফারের কারণে  আমাদের প্রচুর গ্রাহক সাড়া দিচ্ছে। ওয়ালটনের পণ্য নেওয়ার চাহিদা তাদের যথেষ্ট পরিমাণে বাড়ছে।'

শো-রুমে যারা ভিড় করছেন তাদের বেশিরভাগই আসছেন বিজ্ঞাপন, মাইকিং আর টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন দেখে। রান্নার সুবিধায় কেউ কিনছেন রাইস কুকার আর ঘরে খাবারের অপচয় কমাতে কেউ কিনছেন রেফ্রিজারেটর। তাতে কমপ্রেসারে ১২ বছরের গ্যারান্টি, ১ বছরের ফ্রি হোম সার্ভিস এবং নগদ মূল্যে ৪ মাসের সহজ কিস্তি সুবিধা পেয়ে খুশি গ্রাহকরা।

ক্রেতারা বলেন, 'ওয়ালটনের অফার শুনে শোরুমে এসেছি। তাদের ফ্রিজগুলো দেখছি।'

কিছুটা গরমে ক্রেতার আগ্রহ বেড়েছে এসির কর্নারে। ১০ বছরের কমপ্রেসার গ্যারান্টি, ১ বছরের রিপ্লেসমেন্ট, ফিটিং সুবিধা আর ফ্রি সার্ভিসের জন্য এসেছেন অনেকে। এছাড়া সাধ্যের মধ্যে অনেকেই কিনেছেন চার্জার ফ্যান।

আরেকজন ক্রেতা বলেন, 'ওয়ালটনের রাইসকুকার বর্তমানে অনেক চলছে। তাই নিতে আসলাম।'

ওয়ালটনের ৩২, ৪৫ এবং ৫৫ ইঞ্চি টেলিভিশনে হটসেল অফার, গুগলি অফারসহ পাওয়া যাচ্ছে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড়। এছাড়াও পণ্যভেদে আছে ওয়ারেন্টি ও গ্যারান্টি সুবিধা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ওয়ালটনের পরিবেশকরা বলছেন, মিলিয়নিয়র অফারের প্রচারণার পর বেড়েছে বিক্রি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের মেসার্স এন এন ইলেকট্রনিক্সের প্রোপাইটার রেজওয়ান রহমান বলেন, 'সবার বাসায়  ওয়ালটন এখন ফ্যামিলির মতো হয়ে যাচ্ছে। বাসার যেখানেই তাকাবেন সেখানেই ওয়ালটনের পণ্য আছে। আমাদের এখানে এই রোজার মাসে ১০০- ‌১৫০ টার মতো ফ্রিজ বিক্রি হয়।'

মূলত রমজান থেকে শুরু করে কোরবানির ঈদ পর্যন্ত চলে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের রমরমা ব্যবসা। এতে পরিবেশকরা মৌসুমে মুনাফা করেন ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা।

ইএ