এদিকে, ভিকটিমের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার পর তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় মানসিক হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
মামলার তথ্যানুযায়ী, হৃদয় দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করত। ভিকটিম কোনো সাড়া না দেওয়ায় ১৩ মার্চ রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে হৃদয় চেতনানাশক ওষুধ মিশ্রিত পানি ছিটিয়ে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে ভিকটিমের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে গেলে ১৯ মার্চ হৃদয় তাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে হৃদয়ের ভাই ওই ছাত্রীকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেন।
ভিকটিমের বড় ভাই জানান, বোনকে ফেরত পাওয়ার পর তারা প্রথমে শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে তাকে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কয়েকদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হলে জাতীয় মানসিক হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
বিষয়টি শিবালয় থানা পুলিশে জানানো হলে তারা কোর্টে মামলা করার পরামর্শ দেন। পরে কোর্টে মামলা করা হয় বলে জানান তিনি।
ভিকটিমের মা বলেন, ‘আমার স্বামী অনেক আগে মারা গেছেন। ছয় সন্তান নিয়ে অনেক কষ্টে দিন কাটাই। ছোট মেয়ের এই অবস্থার জন্য দায়ী ব্যক্তির সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। ঢাকা নিয়ে চিকিৎসা করানোর মতো টাকাও আমার নেই।’
ভিকটিমের পক্ষে আইনজীবী খন্দকার সুজন হোসেন জানান, ২৩ মার্চ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মিস পিটিশন মামলা দায়ের করা হয়। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে শিবালয় থানাকে এফআইআর করার নির্দেশ দেন। এরপর পুলিশ হৃদয়কে গ্রেপ্তার করে।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন জানান, আদালতের নির্দেশে মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত হৃদয় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ভিকটিমকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।