কাঁচাবাজার
বাজার
0

নতুন পোশাকের পাশাপাশি দাম বেড়েছে কাঁচাবাজারেও

ঈদে নতুন পোশাক থেকে প্রসাধনী সবই কেনা যখন শেষের দিকে তখন ঈদের জরুরি নিত্যপণ্যে নজর ক্রেতাদের। ভিড় বেড়েছে সেমাই, লাচ্ছা, কিশমিশ, গুঁড়ো দুধসহ মিষ্টান্নের বাজারে। বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মুরগি ও গরুর মাংস।

কড়া নাড়ছে খুশির উৎসব ঈদুল ফিতর। নতুন জামা-কাপড়, জুতা, গয়না বা শৌখিন জিনিসপত্র কেনা প্রায় শেষ। তবে এখন দরকার ঈদের জরুরি নিত্যপণ্যের। সেমাই-লাচ্ছা-দুধ-কিসমিস-বাদামসহ বিভিন্ন মিষ্টান্ন খাবার তৈরির উপকরণের বাজারে ক্রেতার ভিড়।

ঈদের দিন সকালে অতিথিদের মিষ্টি মুখ করাতে সেমাই, চিনি ও দুধ কেনাকাটায় ব্যস্ত এখন নগরবাসী। ভিড় জমেছে রাজধানীর কাঁচাবাজার, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর বা মুদি দোকানে।

তবে ঈদের এই নিত্যপণ্যের বাজারে বেড়েছে সেমাই, মসলা, গুঁড়া দুধের দাম। কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউন হলসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, স্থায়ী দোকানের পাশাপাশি রাস্তার পাশে মৌসুমি দোকানদাররাও এসব পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন।

একজন বিক্রেতা বলেন, 'সেমাইয়ের সাথে কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম, এলাচি, দারুচিনি, চিনি, ঘি এগুলো নিয়েছি।'

সব বাজারেই সেমাইয়ের বাড়তি মজুত চোখে পড়ার মতো। খোলা সেমাইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সেমাই পাওয়া যাচ্ছে। বাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তা বাদাম, টক ও মিষ্টি আলুবোখারা, মসলার চাহিদাও তুঙ্গে।

গেল বছর ২০০ গ্রামের প্যাকেট লাচ্ছা ৪০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ৫৫-৬০ টাকা। একইভাবে দাম বেড়েছে খোলা সেমাইয়ের। খোলা সেমাই বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১০০ থেকে ৩০০ টাকায়। উৎসব পুঁজি করে বাড়তি মুনাফার অভিযোগ ভোক্তাদের।

একজন ক্রেতা বলেন, 'যখন বিক্রি বেশি হয় তখন দোকানদাররা দাম বাড়িয়ে দেয়। এটা সবসময়ই। রোজার ঈদ আসলেই দাম বাড়িয়ে দেয়।'

একজন বিক্রেতা বলেন, 'কিশমিশ, বাদাম, গুড়া দুধ সব বাইর থেকে এলসি করানো। যারা এলসি করে তারাই দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা চাইলেও এখানে কিছু করতে পারছি না।'

প্যাকেটজাত চিনির বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়। যা গত বছর ছিলো ৮০ থেকে ৯০ টাকা। একইসঙ্গে বাড়তি টাকায় কিনতে হচ্ছে মসলা। কেজিতে ৫০০ টাকা বেড়ে এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার টাকায়। তবে কমেছে জিরার দাম। পাইকারিতে প্রতি কেজি ভারতীয় জিরা মিলছে ৬৮০ টাকায়। তবে হলুদ, গুঁড়া হলুদ, জায়ফল, সরিষা, পাঁচফোড়ন, গোলমরিচ প্রভৃতি মসলার দাম স্থিতিশীল আছে।

ঈদের আগে হঠাৎ করেই বেড়েছে মুরগির দাম । প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা, আর সোনালি মুরগি ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, বাজারে সরবরাহের চেয়ে চাহিদা বাড়ায় দাম বাড়িয়েছেন খামারিরা। এদিকে, প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়। দু-এক জায়গায় যা ৮০০ টাকা কেজিও দেখা গেছে।

ঈদ আসার আগেও সেমাই, চিনি, মসলা, মাংস সহ পণ্যের দাম বাড়ায় নাজেহাল ক্রেতারা। পণ্যের দাম সহনীয় অবস্থায় নেই বলে অভিযোগ ভোক্তাদের। নিয়মিত তদারকি করে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণের দাবি তাদের।

এসএস