ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বলছে, এটি বড় প্রতারণা, এমনটি হলে জেল, জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে। ক্রেতার কাছ থেকে পাওয়া এমন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে সেসব প্রতিষ্ঠান বা মাংসের দোকানের বিরুদ্ধে।
ভেড়ার মাংস দিনের আলোয় কীভাবে খাসির হয়ে যায় তা দেখতেই একাধিক কাঁচাবাজার ঘুরে দেখেন এই প্রতিবেদক। বাজারে গিয়ে যা দেখা যায়, তা রীতিমতো চমকে উঠার মতো!
বাজারগুলোতে রাতেই ভেড়া আসতে থাকে যা ভোররাতে জবাই করার জন্য রাখা হচ্ছে। ভেড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে, বাজারে থাকা শ্রমিকরা জানান ভেড়ার মাংস খাসির মাংসের নামে বিক্রি হয়। হোটেলগুলোতে এসব মাংস যায়। ৮০০ টাকা কেজি দরে ভেড়ার মাংস কিনেন ক্রেতারা। রাত পেরিয়ে সকালে বাজারগুলোতে জানতে চাওয়া হয় কোথায় ভেড়ার মাংস বিক্রি হয়? প্রথমেই বিক্রেতারা বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং অস্বীকার করেন।
আরো পড়ুন:
বিক্রেতারা বলেন, কেউ বলবে না এখানে ভেড়ার মাংস পাওয়া যায়। আমরা খাসির মাংসই বিক্রি করি। আর অর্ডার থাকলে ভেড়া জবাই করেও বিক্রি করা হয়।
বাজারে ক্রেতারা এসে কিনছেন খাসির মাংস, তাহলে রাতের এতো ভেড়া কোথায় গেল? ক্রেতাদের কাছে জানতে চাইলে বলেন, না দেখে তো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। আর জানি না, ভেড়ার মাংস দিচ্ছে কিনা, বিশ্বাস করেই কিনছি। অনেকে ভেড়ার মাংস খাসির মাংস বলে বিক্রি করে শুনেছি।
অভিযোগের বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম সফিকুজ্জামান বলেন, প্রতারণা করে মাংস বিক্রি করা সুস্পষ্ট অপরাধ। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে এবং তা প্রমাণিত হলে ভোক্তা অধিকার আইনে বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কাপ্তান বাজার ভেড়া-ছাগল আড়ত ব্যবসায়ী সমিতির কোষাধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বলেন, ভেড়ার মাংস খাসির মাংস হিসেবে বিক্রি করে কিনা এটা বলতে পারবো না। কেউ প্রতারণা করে বিক্রি করলে সেটা মনিটরিং করা প্রয়োজন।
রাজধানীর বাজারে ভেড়ার মাংস বিক্রি হয় ৭৫০- ৮০০ টাকা দরে। আর খাসির মাংস ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। আর মাংস চিহ্নিতকণের বা সীল মারার কথা থাকলেও অনেকেই সেটি করছেন না।




