স্বাভাবিক সময়ে খাতুনগঞ্জে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ ট্রাক পেঁয়াজ ঢুকলেও এখন ঢুকছে ১০ থেকে ১৫ ট্রাক পেঁয়াজ। ফলে ৬০ টাকার নিচে নেমে আসা পেঁয়াজ সপ্তাহ ব্যবধানে আবারও উঠেছে ৬৫-৭২ টাকায়। পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে সরবরাহ সংকটকে দায়ী করছেন আড়তদাররা।
তাদের একজন বলেন, 'দেশি পেঁয়াজের সরবারাহ কমে আসতেছে। আগের মতো সরবরাহ নেই।'
ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিলেও বেঁধে দিয়েছে ন্যূনতম দাম। প্রতি টন পেঁয়াজ নূন্যতম ৫৫০ ডলারে বিক্রির নিয়মে হিসাব অনুযায়ী প্রতি কেজির ক্রয়মূল্য দাঁড়ায় ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। এর সঙ্গে ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক এবং পরিবহন ও শ্রমিক খরচ যুক্ত হয়। বাড়তি দামের কারণে তাই কমেছে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি। দেশিয় বাজারে পড়ছে না ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির প্রভাব।
ঘনিয়ে আসছে কোরবানির ঈদ। তখন পেঁয়াজের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। তাই দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা পাইকারদের। তারা বলেন, অনেক বেপারি আছে যারা পেঁয়াজ আনবে। দাম বাড়তেও পারে আবার কমতেও পারে। কী পরিমাণে পেঁয়াজ আসছে তার উপর দাম নির্ভর করবে।
কোরবানির ঈদ ঘিরে বেড়েছে আদার দামও। কিছুদিন আগে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হওয়া চায়না আদা এখন বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২২৫ টাকায়। ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, ভারতের আদা বাজারে না থাকায় দাম বাড়ছে মসলা জাতীয় পণ্যটির। বাজারে মিয়ানমারের কিছু আদা থাকলেও তা মানে ভালো নয়।
ব্যবসায়ীরা বলেন, চায়না আদা বাজারে কম থাকায় কেজিতে ১০-১৫ টাকা বাড়ছে। আবার সরবারাহ বাড়লে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। সামনে ইন্দোনেশিয়া ও মায়ানমার থেকে আসতে পারে আদা।
আড়তদাররা বলছেন চীনে বুকিং রেট বেশি হওয়ায় আমদানিতে খরচ পড়ছে বেশি। চীনে প্রতি টন আদা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ডলারে।