নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বাড়ছে সব ধরনের চালের দাম। বাজারে পর্যাপ্ত চালের সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও দামের ঊর্ধ্বগতি পিছু ছাড়ছে না। খুলনার বাজারগুলোতে গেলো কয়েকদিনে চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪ থেকে ১২ টাকা পর্যন্ত।
বেশি বেড়েছে মিনিকেট, বালামসহ অন্যান্য চিকন চালের দাম। বালাম ৭৮ থেকে ৮৮ টাকা, স্বর্ণা ৫২ এবং ২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। চালের দাম বাড়ার মূল কারণ হিসেবে মিল মালিকদের দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা।
বরিশালেও একই চিত্র। বাজার ঘুরে দেখা গেছে সরবরাহ পর্যাপ্ত। তবুও দাম বেড়েছে মিনিকেট চালের। প্রতি বস্তায় কয়েক ধাপে দাম বেড়েছে প্রায় ১০০ টাকা। তবে অন্যান্য চালের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রয়েছে। ব্যবসায়ীরা সেই পুরোনো অজুহাত মিল মালিকদের ওপরই দায় চাপালেন।
এদিকে, বগুড়ার খুচরা বাজারে কাটারিভোগ চালের কেজি ৭৬ টাকা, ২৮ ও ২৯ জাতের চাল ৬৪ থেকে ৬৮ টাকা এবং স্বর্ণা ও রনজিত জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। বাজারে চালের দামে অস্থিরতা নিয়ে বড় ব্যবসায়ী ও মজুতদারি এবং ধানের দাম বৃদ্ধিকে দুষছেন ব্যবসায়ীরা।
মিয়ানমারের সাথে জিটুজি পদ্ধতিতে চুক্তির ১ লাখ টন চালের প্রথম চালান এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। অবশিষ্ট চালও এ মাসের মধ্যেই আসার কথা রয়েছে। পাকিস্তানের সাথেও ১ লাখ টন চাল আমদানির চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে।
এছাড়াও সরকার ভিয়েতনাম থেকে চাল আমদানির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমন উদ্যোগে বাজারে চালের দামে অস্বস্তি কিছুটা হলেও কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।