বাজার
0

বোতলজাত সয়াবিনের সংকট কাটেনি খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে

সয়াবিন তেলের নতুন দর নির্ধারণের পরও চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে বোতলজাত সয়াবিনের সংকট কাটেনি। সংকটের সুযোগে সরকার নির্ধারিত নতুন দামের চেয়ে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ছয় থেকে আট টাকা বেশিতে। তবে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে পেঁয়াজের বাজারে। সপ্তাহ ব্যবধানে পাইকারিতে কেজি প্রতি ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে নিত্যপণ্যটির দাম।

সরবরাহ কমায় গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দেয় বাজারে। এরমধ্যেই বোতলজাত সয়াবিন তেল লিটারে আট টাকা বাড়িয়ে ১৭৫ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে এ দামেই তেল বিক্রি হলেও কাটেনি সংকট। অন্যদিকে খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৬২ থেকে ১৬৪ টাকায় যেখানে সরকার নির্ধারিত দাম ১৫৭ টাকা।

একজন ব্যবসায়ী বলেন, 'মিলাররা যদি ঠিক দামে পায়, তাহলে সে অবশ্যই আমাদের ঠিক দামে দিবে।'

ব্যবসায়ীরা বলছেন বিশ্ববাজারে প্রতি টন তেলের দাম এক হাজার ২০০ ডলারে উঠেছে। যা গত এপ্রিলে ছিল এক হাজারে ৩৫ ডলার। যার প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারে। এছাড়া মিলাররা বিশ্ববাজারের সাথে সামঞ্জস্য আনতে গেল কিছুদিন ধরে পাইকার ও খুচরা পর্যায়ে সরবরাহ কমিয়েছে। তবে সরকার তেলের দাম বৃদ্ধি করায় সরবরাহ বাড়বে আশা ব্যবসায়ীদের।

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এহসান উল্লাহ জাহিদী বলেন, 'বাজারে ভোজ্যতেলের কোনো ঘটতি নেই। তবে যেহেতু বিশ্ববাজারে দাম বেশি আছে, সেহেতু বাজারে দাম বেশি থাকবে, পণ্যের সংকট থাকবে। দাম নির্ধারিত হয়েছে, আশা করছি মিলাররা এখন তেল বাজারে সরবরাহ করবে।'

এদিকে অস্বস্তির তেলের বাজারে খানিকটা স্বস্তি মিলছে পেঁয়াজে। সপ্তাহ ব্যবধানে খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত কমে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়।

একজন ব্যবসায়ী বলেন, 'মিশরের আছে, পাকিস্তানি আছে, বিভিন্ন বাইরের দেশের পণ্যগুলো বেশি আছে এখন। দাম আগের চেয়ে কমে গেছে। আশা করি আরও দাম কমে যাবে।'

এরইমধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে মুড়ি কাটা দেশি পেঁয়াজ। সরবরাহ বাড়লে সামনে দাম আরও কমে আসবে বলছেন ব্যবসায়ীরা।

এসএস