শিশির ভেজা সবুজে চোখ জুড়ানো ঘিয়ে বর্ণের ফুল। চলতি বছর উৎপাদন ভালো হওয়ায় খুশি রাজশাহীর চাষিরা।
ফুলকপি বাজারে আনতে দারুণ ব্যস্ত কৃষক। ছবি: এখন টিভি
তাই তো পাতার আবরণ ছাড়িয়ে এসব ফুলকপি বাজারে আনতে দারুণ ব্যস্ত কৃষকরা। জমিতে উৎপাদন ভালো হলেও উল্টো চিত্র দামের ক্ষেত্রে। প্রশ্ন উঠছে, কেন বাড়ছে এই দাম?
চাষিরা বলছেন, প্রতি বিঘা ফুলকপি চাষে তাদের খরচ ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। পাইকারিতে প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ২৭শ' টাকায়। কেজিতে যার দাম পড়ছে দর ৬০ থেকে ৬৮ টাকা। এবার দুই থেকে আড়াই টাকা লাভের আশা তাদের।
চাষিদের একজন বলেন, ‘এখনকার ফুলকপির ওজনের পরিমাণ ভালো। আগে যেগুলো ছিল তার পরিমাণ অনেকটাই কম ছিল। আশা করা যাচ্ছে, আমি ৫ বিঘা জমিতে ৮ থেকে সাড়ে আট লাখ টাকা পাবো।’
রোদ-বৃষ্টিসহ নানা জটিলতা সয়ে কৃষকের উৎপাদিত এই সবজি এবার যাবে ভোক্তার হাতে। তবে মাঝে পেরুতে হবে বেশ কিছু ধাপ। আর এই ধাপ বদলের সাথে সাথেই বদল আসবে এর দরেও। তাই এবার মাঠ থেকে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছাতে প্রতি কেজি সবজির দরে কতটা পার্থক্য ঘটে সেটাই দেখবো স্থানীয় হাট-বাজারে।
মাঠের ফুলকপি আনা হয়েছে পাইকারি বাজারে, কেজিতে দাম বেড়েছে ৭ থেকে ১০ টাকা। এছাড়া জমিতে কেজি প্রতি ৫০ টাকা বিক্রি হওয়া সিম বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এক হাত বদলেই সবজি ভেদে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায়ীদের বলছেন, হাটের খাজনাসহ নানা খরচের সমন্বয় করতেই নাকি বাড়ছে এই পরিমাণ দাম।
সবজির ব্যপারী মো. আকরাম আলী বলেন, ‘২৪শ' টাকায় প্রতি মণ কিনলে এর পিছনে আমাদের খরচ ১৫ টাকা করে পড়ে। সব মিলিয়ে ৩ হাজার টাকা পড়ে।’
পাইকারি বাজার থেকে এসব সবজির গন্তব্য এখন জেলার বাইরে কিংবা স্থানীয় খুচরা বাজার। সেখানেও কেজিতে ৫-১০ টাকা বেড়ে সবজির দাম হয়ে যায় আকাশচুম্বী।
খুচরা ব্যবসায়ীদের একজন বলেন, ‘কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা লাভ আর পাইকারিতে বিক্রি হলে আমাদের লাভ ১ থেকে ২ টাকা হলে অনেক।’
কাঁচামালের দাম নির্ধারণে সুনির্দিষ্ট কোন কাঠামো না থাকার সুযোগ নিচ্ছে স্থানীয় বাজার সিন্ডিকেট ও মধ্যসত্ত্বভোগীরা। যৌক্তিক কারণ নেই অথচ লাগাম ছাড়াই ছুটছে দাম। তাই বাজার দর নিয়ন্ত্রণে নজরদারির দাবি ক্রেতাদের।