বাজারের ফর্দ নিয়ে কাপ্তান বাজারে এসেছিলেন রবিন আহমেদ। দাম কমায় ফর্দের তালিকার বাইরেও নিচ্ছেন অন্যান্য সবজি। জানালেন অনেকটা নাগালে থাকায় একটু বেশিই কিনছেন আজ।
রবিন বলেন, 'দ্রব্যমূল্য যদি ঠিক থাকে তাহলে আমরা সবাই খুশি। কিন্তু বিগত সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি।'
বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় বেশিরভাগ সবজিতেই দাম কমেছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। অর্ধেকে নেমে এসেছে কাঁচা মরিচের দাম, ৩০০ টাকা থেকে কমে বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকায়। এছাড়াও বেগুন, পটল, ঢেড়স, কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন দেশের চলমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করায় দাম কমতে শুরু করেছে। দাম অনেকটা নাগালে থাকায় খুশি ক্রেতারাও।
একজন ক্রেতা বলেন, 'কয়েকদিন তো সমস্যার কারণে কাঁচা সবজি আসতে পারেনি। সেজন্য দাম বেশি ছিল। আজকে মোটামুটি দাম ঠিক আছে।'
একজন বিক্রেতা বলেন, 'রাস্তাঘাটে অনেক ঝামেলা করে সবজি নিয়ে আসতে। এখন স্বাভাবিক হয়েছে সব। সেজন্য দাম কমেছে।'
অন্যদিকে কেজিতে ৫০০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে ইলিশের। এছাড়াও অন্যান্য মাছেও দাম কমেছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন আমদানি বেশি থাকায় আর হোটেলগুলো বন্ধ থাকায় কমেছে মাছের দাম, বেড়েছে ক্রেতার সংখ্যাও।
তবে, দাম বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির, কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি দামে বাজারভেদে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
সামনে পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হলে আর সিন্ডিকেট করে দাম না বাড়ালে দাম আরও কমে আসবে এমনটাই মনে করছেন বিক্রেতারা।