নববর্ষে ঘিরে বাঙালিয়ানার পরিচয় খানিকটা রসনা বিলাসেও। নানা পদের খাবারের সঙ্গে নববর্ষে বাঙালির রসনার উপাদেয় ইলিশ মাছ শীর্ষ পদ।
নববর্ষের আগে সাপ্তাহিক ছুটির দিন পাওয়ায় অনেকেই করছেন নববর্ষের রসনার বাজার। সেখানে চাহিদা বেড়েছে ইলিশের। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার থেকে দুই হাজার ২০০ টাকায়। তবে ৫টি অভয়াশ্রমে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ হলেও সাগরে চলমান থাকায় বাজারে এখনও সরবরাহ ভালো।
বিক্রেতাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘এই সপ্তাহে ইলিশের চাহিদা বাড়েনি। মাছের দাম কম, ক্রেতাও কম।’
ক্রেতাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘সাধারণত বড় দেড় কেজি ইলিশের দাম হওয়ার কথা এক হাজার আটশ থেকে দুই হাজার টাকা। কিন্তু এখন দাম অনেক বেশি।’
মাংসের বাজারে স্বস্তি নেমেছে গরু ও খাসির মাংসের দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা কমেছে। চাহিদা বাড়লেও দাম কমেছে মুরগির মাংসের। ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কেজিতে কমেছে ১৫ থেকে ২০ টাকা।
একজন মাংস বিক্রেতা বলেন, ‘ঈদ চলে যাওয়ায় বাজারে ক্রেতা কমে গেছে। তাই আমরা কম দামে বিক্রি করছি।’
তবে ঈদের পর সবজির বাজার চড়া। প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে বলছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে নিত্যদিনের সবচেয়ে বেশি চাহিদা চালের বাজার চড়া। ৫০ কেজি বস্তার সব ধরনের চালের দাম ১০০ থেকে ২০০ টাকা বাড়তি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি কমায় বেড়েছে চালের দাম। নববর্ষের আগে সব মিলিয়ে স্বস্তির বাজার করলেও সামনে সবজির দাম বাড়ার শঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।