ঈদের পরপরই খুচরা পর্যায়ে খোলা সয়াবিন লিটারে ২ টাকা কমিয়ে সর্বোচ্চ ১৪৭ টাকা এবং সুপার পাম অয়েল ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। কিন্তু দেশের ভোগ্য পণ্যের বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ৩-৫ টাকা কমে।
তবে দাম কমলেও ক্রেতা সংকটে ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, গরমে পাম তেলের চাহিদা বাড়লেও কমে সয়াবিন তেলের চাহিদা। এমন অবস্থায় পাইকারিতে প্রতি মণ সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ৫৯০০-৬০০০ টাকায়।
এক বিক্রেতা বলেন, গরমের মধ্যে সয়াবিন তেলটা একটু কম টানে। সবাই পাম তেল নেয়। বেচাকেনা খুবই খারাপ, দৈনিক খরচও ওঠে না।
ঈদের পরে কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা পর্যন্ত কমেছে চিনির দামও। প্রতিকেজি ছোট দানার খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩২ থেকে ১৩৩ টাকায়। আর বড় দানার চিনি বিক্রি হচ্ছে ১২৮ থেকে ১৩০ টাকায়।
তবে রোজার পর হোটেল, রেস্তোরাঁ খোলায় চাহিদার সাথে সাথে দাম বেড়েছে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার। মানভেদে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৬০ টাকায়। আর ভারতীয় পেঁয়াজের দর ৫০ থেকে ৭০ টাকা। আর চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৭৮ থেকে ১৮০ টাকায়।
এক ব্যবসায়ী বলেন, বেচাবিক্রি স্বাভাবিক হতে আরও ১০-১৫ দিন লাগতে পারে। আমি মনে করি দেশি পেঁয়াজ ৫২-৫৫ টাকা তেমন বেশি দাম না।
এদিকে কোরবানির ঈদের চাহিদা বিবেচনায় এখন থেকে সব ধরনের মসলা আমদানির উদ্যোগ নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।