বাজার
ঈদের বাজারে চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা
ঈদের বাজারে সেমাই, চিনি, মসলা কেনার ধুম পড়েছে। বিক্রি হচ্ছে শসা, লেবু, কিসমিস, ঘি ও দুধ। ক্রেতারা বলছেন, কিছু পণ্যের দাম বেশ চড়া, তাই শেষ মুহূর্তে প্রয়োজন অনুযায়ী কিনছেন তারা।

আর্থিক অবস্থা যেমনই হোক, ঈদের জন্য নিজের সাধ্য অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পণ্যটি কিনে নিচ্ছেন সবাই। ঈদ বাজারে দামে কিছু পণ্য স্বস্তি দিলেও অনেক পণ্যেই ছড়াচ্ছে উত্তাপ।

ব্যাংকার দম্পতি আসিফ ইকবাল ও লুনা হক। জানালেন, দাম বাড়তি হওয়ায় অনেক পণ্য শেষ সময়ে অল্প করে কিনে নিচ্ছেন তারা।

তারা বলেন, 'পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে অনেক কিছু মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।'

ক্রেতারা বলছেন, প্রয়োজনীয় বেশিরভাগ পণ্যের দামই চড়া। বাধ্য হয়ে বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে পণ্য।

বাজারের মসলার দোকানে ক্রেতার ভিড় বেশি। কেজিপ্রতি এলাচ ৩২৫০ টাকা, দারুচিনি ৫৫০, লবঙ্গ ১৬০০ , জিরা ৫৫০-৭০০, জয়ফল ১২৫০, জয়ত্রী ৩৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সেমাই প্রকারভেদে ২৫০-৪০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। কিছুটা কমেছে চিনির দর।

বিক্রেতারা বলেন, এবার মানুষ আগেভাগে ছুটি পাওয়ায় সবাই দেশে চলে গেছে। তাই ভিড় তুলনামূলক কম। যারা আসছেন তারা প্রয়োজন অনুযায়ী কিনছেন।

ঈদে প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য পোলাওয়ের চাল। এখন খোলা চিনিগুঁড়া ১২৫ থেকে মানভেদে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গুঁড়া দুধ কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে গেছে।

বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে মাংসের দর। সরবরাহ থাকায় আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে গরু, ছাগল ও খাসির মাংস।

বাজারে সালাদ তৈরির উপকরণের মধ্যে লেবু ১০ টাকা করে, শসা দাম বেড়ে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত রয়েছে মরিচ, পুদিনাপাতা, টমেটোর দর।

বাজারে পণ্যের সরবরাহে ঘাটতি নেই। তারপরও দামে ঊর্ধ্বগতিতে শেষ সময়েও ফর্দে কাটছাঁট করতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

এভিএস