বাজার
0

বাজারে নিত্যপণ্যের দাম চড়া, অস্বস্তিতে ক্রেতারা

রমজান আসন্ন, অথচ নিত্যপণ্যের বাজারে যেন সংযমের ছিটেফোঁটাও নেই। লাগামছাড়া দামে বেসামাল বাজার।

রমজান ঘিরে বেড়ে যায় বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা। আর এই সুযোগে দামও বাড়তে থাকে হু হু করে। যেন এক চিরাচরিত নিয়মের বেড়াজালে সাধারণ মানুষ।

এসময় বিভিন্ন রকম ডাল, ছোলা, খেজুরসহ মসলাজাতীয় পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। তবে ঊর্ধ্বমূল্যের বাজারেও কিনতে বাধ্য ক্রেতারা। বাজার ঘুরে দেখা যায়, ছোলা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১১০ টাকায়। মসুর ডাল ১৪০, বুটের ডাল ১০৫ টাকা কেজি। শুল্কছাড়ের প্রভাব কোন পণ্যেই নেই।

ক্রেতারা বলেন, ‘রমজান উপলক্ষে সরকার বলছে, দাম কমবে। আমরাও আশায় ছিলাম কিন্তু এখন তো দেখছি বিপরীত, দাম আরও বেড়ে যাচ্ছে।’

মনিটরিংয়ের দাবি জানিয়ে এক ক্রেতা বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে খুচরা, পাইকার ও আড়তে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতে হবে।

বাজারে সব ধরনের মুরগির দাম বেড়েছে

নতুন করে দাম নির্ধারণ করে দেয়া সয়াবিন তেলের দামেও তেমন প্রভাব পড়েনি। অধিকাংশ দোকানে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, নতুন দামের তেল না আসায় পুরনো দামেই বিক্রি করছেন তারা। তবে কিছু কিছু দোকানে ব্যতিক্রমও দেখা গেছে।

এদিকে রমজান মাসে আমিষের একটি বড় অংশ পূরণ করে মুরগি। তবে সব ধরনের মুরগিই ক্রেতার নাগালের বাইরে। সপ্তাহ শেষে ব্রয়লারের দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। আর সোনালি মিলছে ৩২০ টাকায়, দেশি মুরগির জন্য গুণতে হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬২০ টাকা।

এক মুরগি বিক্রেতা বলেন, সরবরাহ কম থাকলে বাজারে দাম বেশি হয়। দাম কমলে তো ক্রেতারাও কিনে শান্তি পায়।

বাজারে ইলিশের দাম বেশি

মাছের বাজারেও স্বস্তি নেই। সরবরাহ কম থাকায় আগের চেয়ে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে দাম পড়ছে সর্বনিম্ন ১৬০০ থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত। রুই-কাতল বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায়। আর নাগালের বাইরে ছোট দেশি মাছ।

বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় বাজারে মাছের দাম বাড়তি। ক্রেতারা বলেন, মাছের একেক সময় একেক দাম। আর রোজা আসলেই যেন সবকিছুর দাম বেড়ে যায়।