রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে ওসমান হাদির মৃত্যুর সংবাদ আসার পরপরই উত্তাল হতে থাকে রাজধানী। বিভিন্ন স্থান থেকে জুলাই মঞ্চের কর্মী-সমর্থকরা জড়ো হতে থাকে শাহবাগে। সেখানে ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানায় তারা।
হাদির মৃত্যুর খবর পৌঁছানোর পর বিক্ষোভ শুরু হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসেও। ঢাবির বিভিন্ন হল থেকে মিছিল নিয়ে আসা শিক্ষার্থীরা তখন ‘আধিপত্যবাদবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে টিএসসি রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ করেন।
পরে তারা মিছিল করে শাহবাগে অবস্থান নেয়। শাহবাগে তাদের সঙ্গে যোগ দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, উপদেষ্টা পরিষদ থেকে সদ্য পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম, আসিফ মাহমুদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন:
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশকে ঐক্যবদ্ধ করুন। যেন কেউ হাদির মৃত্যুকে ভিন্নভাবে প্রভাবিত করতে না পারে। ভারতকে দ্রুত পালিয়ে যাওয়া হাদির খুনিদের ফেরত দিতে হবে। হাদির খুনিদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘একটি ঐক্যবদ্ধ শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলবে।’
এসময় সব রাজনৈতিক নেতাদের সামনে আসার আহ্বান জানান এনসিপির এ নেতা।
মাহফুজ আলম বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের উচ্ছিষ্ট যারা আছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা মাঠে নেমেছি। আমাদের সবার মাথার দর নির্ধারণ করা হয়েছে, এখন আর ঘরে বসে থাকা সম্ভব নয়। দাবি একটাই এই খুনিদের ফেরত চাই। একজন ওসমান হাদিকে হত্যা করে নির্বাচন বানচালের যে পরিকল্পনা সেটি বাস্তবায়ন হতে দেয়া হবে না।’
আরও পড়ুন:
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল ও শামসুন্নাহার হলের মেয়েদের সঙ্গে নিয়ে শাহবাগ আসেন সামান্তা শারমিন।
এদিকে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধরা। এসময় অফিসে ভাঙচুরও চালায় তারা। প্রথম আলোর পর ডেইলি স্টারের কার্যালয়েও আগুন দেয়া হয়েছে।
এসময় কর্মরতদের মধ্যে অনেকে ডেইলি স্টারের ছাদে আটকা পড়েন।





