বাজার
0

শবে বরাতের পর থেকে জমজমাট চট্টগ্রামের টেরিবাজার

শবে বরাতের পর থেকেই বেচাকেনায় জমজমাট পোশাকের জন্য বিখ্যাত চট্টগ্রামের টেরিবাজার। ১১০টি ছোট বড় মার্কেটে মিলছে দেশি আর আমদানি করা নিত্য-নতুন পোশাক। বন্দরনগরীর বাসিন্দারা ছাড়াও, সারাদেশের ক্রেতারাও ছুটে আসছেন পাইকারি এ মার্কেটে। বিক্রেতাদের আশা, এবার ঈদ ঘিরে দেড় থেকে ২ হাজার কোটি টাকা বেচাবিক্রি হবে।

ঈদ ঘিরে ব্যস্ততা শুরু হয়ে গেছে চট্টগ্রামের শত বছরের পুরনো টেরিবাজারের। বাজারটির সরু অলিগলি থেকে শুরু করে সব দোকানেই এখন কেনাকাটার ধুম।

আমদানি করা কাপড়ের পাইকারি বাজার হওয়ায় এখানে বেচাবিক্রি শুরু হয় রমজানের ১ মাস আগে থেকেই। মেলে কাতান, লিনেন, জামদানি, সুতি, শিফন ও প্রিন্ট কাপড়সহ দেশি বিদেশি সবধরনের কাপড়।

ফ্যাশন আর নানা ডিজাইনের পোশাক পাওয়ায় বন্দর নগরীর নারীরা প্রথমেই ছুটে আসেন এখানে। এক ছাদের নিচে পাওয়া যায় সব ধরনের পোশাক। দামও তুলনামূলক সস্তা।

ক্রেতারা বলছেন, ঈদের সময় মার্কেটে ভিড় এবং দাম বেশি থাকে। আবার পোশাক তৈরির ঝামেলা এড়াতে আগেভাগেই কেনাকাটা সেরে ফেলছেন।

টেরিবাজারে ছোটবড় মিলে পোশাকের মার্কেট আছে ১১০টি। যেখানে দোকানের সংখ্যা প্রায় তিন হাজার। এবার ঈদুল ফিতরে বেচাবিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে দেড় থেকে ২ হাজার কোটি টাকা।

গেল এক দশকে টেরিবাজারে ব্যবসার ধরনে এসেছে পরিবর্তন। গড়ে উঠেছে ৫০টির মত বেশি ওয়ান স্টপ বড় দোকান। যেখানে একই ছাদের নিচে মিলছে সব ধরনের পোশাক, অলংকার, কসমেটিকস, জুতাসহ নানা পণ্য। এসব দোকানে প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ৮ লাখ টাকা।