বাজার
0

খেজুরের আমদানি বাড়লেও দাম কমেনি

পর্যাপ্ত খেজুর আমদানি হলেও রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারে দামে প্রভাব নেই। প্রতিটি জাতের খেজুরে কেজি প্রতি বেড়েছে অন্তত ১০০ টাকা পর্যন্ত।

রাত পোহানোর আগেই রাজধানীর বাদামতলী ঘাটে সোরগোল। সারিবদ্ধ ট্রাক থেকে আড়তে আড়তে নামছে খেজুর। সরবরাহের এমন প্রাচুর্য থাকলেও খেজুরের দামে লাগাম নেই। সরকার ঘোষিত ১০ শতাংশ শুল্ক কমানোর প্রভাব নেই পাইকারি বাজারে।

বাদামতলী ঘাট থেকে খেজুর কেনেন রাজধানীসহ সারাদেশের খুচরা বিক্রেতারা। ঢাকার ৩টি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খেজুরের বাজার তো নামেইনি, শুল্ক কমানোর পর উল্টো প্রতিদিন বাক্সপ্রতি ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত খেজুরের দাম বাড়ছে। পর্যাপ্ত সরবারহের পরও দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে খুচরা ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটকেই দুষছেন।

খুচরা বিক্রেতারা বলেন, ‘গরিব মানুষ যে ২০০ টাকার খেজুর কিনে খাবে, সে খেজুরেও ১০০ টাকা দাম বাড়ছে। এতো দাম কীভাবে হয়? খেজুরের গাড়ি যখন আসে তখন দালালরা সব কিনে নেয়, তারপরও স্বাধীনমতো আমাদের কাছে বেচে।’

গেল বছরের তুলনায় খেজুরের প্রতিটি ধরনের দাম কেজিতে বেড়েছে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া দাবাস, বড়ই ও তিউনেশিয়ান খেজুর কিনতে ক্রেতার গুণতে হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা। আর মরিয়ম খেজুরের দাম মানভেদে ৯০০ থেকে ১২৫০ টাকা, মাবরুম প্রতি কেজি ১৩শ', আজোয়া খেজুর ১১০০ থেকে ১৫০০ টাকা। প্রতিটি পদের খেজুরের দামই কেজিতে বেড়েছে অন্তত ১০০ টাকা। এতে বিক্রি কমেছে খুচরা বিক্রেতাদের।

ক্রেতারা বলেন, মানুষের খেজুর কেনার মতো সামর্থ্য নেই। রমজান আসছে তারপরও সাধারণ মানুষ খেজুর কিনতে পারছে না। বাজারে সব খেজুরের দাম বেশি, মানুষ খেজুর খাবে কীভাবে?

কবে নাগাদ খেজুরের বাজার স্বাভাবিক হবে, তা নিয়ে সন্দিহান ক্রেতারা। শুল্ক কমানো ও পর্যাপ্ত আমদানি হওয়ার পরও খালাস নিয়ে তেলেসমাতি- যে কারণে বাজারে আমদানির খেজুর আসছে না। এসব নিয়ে ক্রেতারা প্রশ্ন তুলেছেন। তারা বলছেন, দাম নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতে হবে।

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর