'রোজার আগেই পেঁয়াজ ও চিনি আমদানি'

0

রমজানের আগে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বেশকিছু পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে সরকার। পেঁয়াজ ও চিনির দাম সহনীয় রাখতে এবার ভারত থেকে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে আমদানির সংবাদ দিলেন নতুন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, '২০ হাজার টন পেঁয়াজ ও ৫০ হাজার টন চিনি যেটা আমাদের চাহিদার বড় একটা অংশ পূরণ করবে। এটা আমরা রমজানের আগেই বাংলাদেশে পাবো।'

তবে দর নির্ধারণের পর বেশ কিছুদিন সহনীয় থাকলেও আবার বেড়েছে ডিমের দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে ১০ টাকা পর্যন্ত ডজনে বেড়েছে। দাম বেড়ে সাদা ডিম ডজন প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা, লাল ডিম ১৩৫ টাকা আর হাঁসের ডিম ডজন পড়ছে ২৩০ টাকা।

ডিমের মূল্যবৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। তবে বিক্রেতাদের বাড়তি দামে কেনার অজুহাত। ক্রেতারা বলেন, 'আজকে নিলাম ২০ টাকা আবার আগামীকাল দেখা যাবে ৪০ টাকা। কমে তো আর পাচ্ছি না। যে বেতন পাই তাতে ঘরভাড়া দিয়ে চলতে কষ্ট হয়ে যায়। সামনে রমজান আসতেছে জানি না কি যে হয়।'

|undefined

এদিকে মাছের বাজারেও স্বস্তি নেই। ঊর্ধ্বমুখী দেশি জাতের সব মাছের দাম। শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি, টেংরা ৮০০, দেশি পাবদা কিনতে গুনতে হচ্ছে ১ হাজার টাকা। মাছের রাজা ইলিশও আকারভেদে বিক্রি ১২০০-২২০০ টাকা পর্যন্ত। বিক্রেতারা বলছেন দেশি মাছের সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়তি।

মাছ বিক্রেতারা বলেন, 'বাজারে মাছের সরবরাহ কম তাই দাম কিছুটা বেশি। নদীর মাছের দামও কম না। কারণ আমদানি নাই।'

তবে মুরগির বাজার অনেকটা স্থিতিশীল। ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা, সোনালি মিলছে ২৮০-২৯০ টাকা কেজি দরে। তবে ক্রেতাদের দাবি দাম এখনও নাগালের বাইরে।

|undefined

আমিষের বাজারে যখন নাভিশ্বাস তখন শীতকালীন সবজিতে সাধারণ ক্রেতার ভরসা। শীতের সবজির ভরা মৌসুমেও গলদঘর্ম অবস্থা মধ্যবিত্তের। সরবরাহ পর্যাপ্ত হলেও ঊর্ধ্বমুখী সব ধরণের সবজির দর।

টমেটো, শসা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি, শিম ৮০ টাকা, তবে লাউ এবং বেগুন ছুঁয়েছে সেঞ্চুরি। অভিযোগের পাশাপাশি ক্রেতারা বলছেন, ঊর্ধ্বগতির বাজারে তারা নিরুপায়।

ক্রেতারা বলেন, 'একটা ফুলকপির দাম  ৮০ টাকা। সবাই তো আর কিনতে পারে না। সবকিছুই নাগালের বাইরে। মধ্যবিত্ত আর নিম্নবিত্তরা যে কিনে খাবে তার পরিস্থিতি নাই।'