তবে চাহিদার তুলনায় যোগান কম থাকায় প্রতিদিনই পণ্যের ঘাটতি হচ্ছে ট্রাকসেলে। বাড়তি চাহিদার কথা মাথায় রেখে শিগগিরই ট্রাকসেলের পরিধি বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন টিসিবির মুখপাত্র।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয় গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই ব্যস্ততা শুরু ডিলারদের। নির্ধারিত সময়ের আগেই পৌঁছতে হবে নির্দিষ্ট স্থানে।
নির্ধারিত ফ্যামিলি কার্ড ছাড়াই যেহেতু পণ্য দেবে টিসিবি, তাই মানুষদের নতুন যুদ্ধ টোকেন সংগ্রহ করা। ট্রাক পৌঁছানোর পরই সে যুদ্ধে নামেন গ্রাহক। কেননা টোকেন না পেলে পণ্য পাওয়ার সুযোগ নেই।
এরপরও টোকেন পান না অনেকেই, এ প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে থাকেন মধ্যবিত্তরা। তবুও ঠায় দাঁড়িয়ে অনেকের অপেক্ষা কম দামে পণ্য পেতে। এছাড়া ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে নির্দিষ্ট ডিলার পয়েন্ট থেকে পণ্য না পেয়ে ট্রাকসেলের লাইনে দাঁড়িয়েছেন অনেকে। আবার কেউ কেউ এবারই প্রথম এসেছেন টিসিবির ট্রাকের পেছনে।
এক গ্রাহক বলেন, ‘আমি এবারই প্রথম এসেছি। আধা ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি, আরও কতক্ষণ লাগবে তা বলতে পারছি না।’
গ্রাহকদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ যে টোকেন দিচ্ছে তা সহজেই নকল করতে পারবে। এছাড়া সিরিয়াল নিয়ে হট্টগোলও প্রচুর।
এ ট্রাক সেলের মাধ্যমে লিটার ১০০ টাকা করে দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি করে মসুর ডাল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৫০ টাকা ও আলু প্রতি কেজি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গেল বছরের মার্চ থেকে নির্ধারিত ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে প্রতি মাসে ১ কোটি পরিবার টিসিবির পণ্য পেয়ে আসলেও গেল নভেম্বর থেকে পুনরায় চালু হয়েছে টিসিবির কার্ডবিহীন পণ্য বিক্রি কার্যক্রম। সূলভ মূল্যে ট্রাকসেলের মাধ্যমে ঢাকায় ৩০টি স্থানে ৯ হাজার মানুষ পাচ্ছে এসব পণ্য। তবে প্রতিদিন নির্দিষ্ট ব্যক্তিরাই পাচ্ছে টিসিবির পণ্য এমন অভিযোগের পর নতুন নিয়ম করেছে টিসিবি।
টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেন, ‘এ মাসের শুরুতে যখন ওয়ার্ডভিত্তিক পণ্য দিয়েছি তখন বেশিরভাগ মানুষ পেঁয়াজ নিতে চাননি। অনেক অসাধু গ্রাহক ৪/৫জনের একটা গ্রুপ করে বার বার পণ্য নিয়ে যেতো যার কারণে এবার টোকেন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।’ খোলা বাজারে পণ্য বিক্রির এ কার্যক্রম ভবিষ্যতে আরও বাড়ানো হবে বলেও জানান তিনি।
তবে টিসিবির এ কার্যক্রমের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ ও খোলা বাজারে এর প্রভাব ফেলতে নিয়ম করে উপকার ভোগীর সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙ্গার পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।





