রমজান মাসের জন্য দোয়া করা
রসুলুল্লাহ (স.) আমলের তাওফিকের জন্য দোয়া করতেন। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত করা হয়েছে, 'যখন রজব মাস আসতো, রসুলুল্লাহ (স.) বলতেন, হে আল্লাহ, রজব ও শাবান মাস আমাদের জন্য বরকতময় করুন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন।' (বায়হাকি ৩৫৩৪)
পূর্বসূরী অনেক আলেমও রমজান প্রাপ্তির জন্য দোয়া করতেন। ইবনে রজব হাম্বলি (রহ.) বলেন, 'মুয়াল্লা ইবনে ফজল বলেছেন, তারা ছয় মাস রমজান পাওয়ার জন্য দোয়া করতেন এবং ছয় মাস আমলগুলো কবুল হওয়ার জন্য দোয়া করতেন।'
দিন গণনা করা
শাবান মাসের তারিখ হিসাব রাখা রমজানের পূর্বপ্রস্তুতির একটি সুন্নত। রাসুল (সা.) শাবানের দিন তারিখ সম্পর্কে বিশেষভাবে সচেতন থাকতেন। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, 'আল্লাহর রসুল শাবান মাসের তারিখের প্রতি এত লক্ষ রাখতেন যা অন্য মাসে করতেন না।' (আবু দাউদ ২৩২৫)
রমজানের আগে অধিক পরিমাণে রোজা রাখা
হজরত ওসামা ইবনে জায়েদ (রা.) বলেন, 'রসুলুল্লাহ (স.) শাবান মাসে অধিক রোজা রাখতেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম কেন? তিনি বললেন, এটি এমন একটি মাস যে মাসে আমল আল্লাহর কাছে পেশ করা হয়। আমি চাই আমার আমল রোজা অবস্থায় পেশ করা হোক।' (নাসায়ি ২৩৫৭)
মানুষকে রমজানের প্রতি উৎসাহী করা
রসুলুল্লাহ (স.) সাহাবিদের রমজানের ফজিলত সম্পর্কে অবগত করাতেন এবং তাদের ইবাদতে উৎসাহ দিতেন। তিনি বলতেন, 'রমজান বরকতময় মাস, তোমাদের দুয়ারে উপস্থিত হয়েছে। এ মাসে এমন একটি রাত রয়েছে যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।' (নাসায়ি ২১০৬)
রমজানের বিধান জানা ও আনন্দ প্রকাশ করা
রমজানের যাবতীয় বিধি-বিধান সম্পর্কে জানা প্রত্যেক মুসলিমের দায়িত্ব। রসুলুল্লাহ (স.) নিজেও সাহাবিদের এ বিষয়ে সচেতন করতেন। একইভাবে আলেমদের উচিত রমজানের বিধান নিয়ে মানুষের মাঝে প্রচার করা।
এছাড়া রমজানের আগমনে আনন্দ প্রকাশ করা মুমিনের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, 'বলুন, এটা আল্লাহর অনুগ্রহ ও তার দয়ায়। তাই তারা আনন্দিত হোক।' (সুরা ইউনুস ৫৮)
রসুলুল্লাহ (স.) নিজেও রমজানের আগমনে আনন্দ প্রকাশ করতেন এবং সাহাবিদের জানাতেন, 'তোমাদের দুয়ারে রমজান এসেছে।' (নাসায়ি ২১০৬)