ইসলাম আমাদের শেখায়—কথা কম বলা, কাজ বেশি করা, নিজের আমলকে লোক দেখানোর মনোভাব থেকে বাঁচানো (Avoiding Riya)। কারণ মানুষ যত বেশি চুপ থাকে, তার অন্তর তত বেশি জাগ্রত থাকে; আর যে যত বেশি কাজ করে, আল্লাহ তত বেশি তার পথ সহজ করে দেন।
আরও পড়ুন:
নীরবতা মুমিনের শক্তি ও ইমানের শুদ্ধতা (Silence is Mumin's Strength)
নীরবতা কখনোই দুর্বলতা নয়; বরং এটি মনের দৃঢ়তা, ইমানের শুদ্ধতা (Purity of Iman) এবং চরিত্রের পরিপক্বতার প্রকাশ। নীরব থাকা জিহ্বাকে অপ্রয়োজনীয় কথা, পরনিন্দা ও মিথ্যা থেকে রক্ষা করে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন— "যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালকে বিশ্বাস করে, সে ভালো কথা বলুক, না হলে নীরব থাকুক।" (বুখারি ৬৪৭৫)
কথা নয়, কর্মই আনে সাফল্য (Action Brings Success)
সাফল্য নীরব মানুষের সঙ্গী। কথা নয়, কাজই মানুষের ভাগ্যকে আলোকিত করে। যারা কর্মে মনোযোগী, আল্লাহ তাদের জন্য পথগুলো সহজ করে দেন।
নবী (সা.) বলেছেন— "তোমরা আমল করতে থাক। কারণ, যাকে যে আমলের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে, তার জন্য সে আমলকে সহজ করে দেওয়া হবে।" (বুখারি ৪৯৪৯)
নীরব আমলই আল্লাহর কাছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য (Silent Deeds are Accepted)
মানুষ দেখুক বা না দেখুক— আল্লাহ দেখেন এবং মূল্যায়ন করেন। মানুষের বাহবা নয়, আল্লাহর সন্তুষ্টিই (Allah's Pleasure) হলো আসল সাফল্য। এই জন্যেই নীরব আমলকে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে ভালো কাজ হিসেবে গণ্য করা হয়।
আল্লাহ তাআলা বলেন— "যে অণু-পরিমাণ ভালো কাজ করবে, সে তা দেখবে।" (সুরা যিলযাল: আয়াত ৭)
আরও পড়ুন:
কম কথায় বরকত ও আত্মশুদ্ধি (Barakah and Purification)
যে জিহ্বা সংযত রাখে, তার হৃদয় আলোর পথে অগ্রসর হয়। নীরবতা মুমিনকে শুদ্ধ করে এবং তার কাজে বরকত (Barakah) আনে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন— "মুক্তি সেই ব্যক্তির জন্য, যে তার জিহ্বাকে অপ্রয়োজনীয় কথা থেকে সংযত রাখে।" (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা ২৫৩৮৬)
সাফল্য কখনো চিৎকার করে দাবি করা যায় না; এটি নীরবে আসে, ধীর পায়ে এগিয়ে আসে— সেই মানুষের জীবনে, যার জিহ্বা সংযত, হৃদয় বিনয়ী, আর কাজ হয় আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। কম কথা, বেশি আমল— এটাই মুমিনের জীবনে আল্লাহর আশীর্বাদ লাভের সবচেয়ে উজ্জ্বল পথ।





