৪১ বছর আগে জামায়াতের পক্ষ থেকে তত্ত্বাবধায়কের প্রথম প্রস্তাব দেয়া হয়: শিশির মনির

আইনজীবী মো. শিশির মনির
আইনজীবী মো. শিশির মনির | ছবি: এখন টিভি
0

নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় অবৈধ ঘোষণা করেছেন আপিল বিভাগ। তবে এ ব্যবস্থা চতুর্দশ সংসদ নির্বাচন থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী মো. শিশির মনির। তিনি বলেন, ‘১৯৮৪ সালে, আজ থেকে ৪১ বছর আগে বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। এরপর অনেক কিছু ঘটে গেলেও অবশেষে জাতি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে। কেয়ারটেকার সরকার একটি মূল স্তম্ভ, যা না থাকলে অবাধ নির্বাচন সম্ভব নয়।’

আজ (বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর) আপিল বিভাগের রায়ের পর সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিশির মনির এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘রায়ে বলা হয়েছে অতীতের যে রায় দেয়া হয়েছিল, তা কলঙ্কিত ছিল। এ রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো। তবে সংসদ ভেঙে যাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এ সরকার গঠিত হবে। এখন সংসদ না থাকার কারণে তা কার্যকর হবে না; মূলত চতুর্দশ সংসদ নির্বাচনের সময় এটি কার্যকর হবে।’

আরও পড়ুন

শিশির মনির বলেন, ‘নির্বাচনের ক্ষেত্রে জয়-পরাজয় গ্রহণের মানসিকতা তৈরি করতে হবে। আমরা যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার চেয়েছিলাম, সেটা ব্যক্তিগত বা দলীয় স্বার্থের জন্য নয়। অবশেষে আমরা সেখানে ফিরে এলাম। আমাদের পরবর্তী দায়িত্ব একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা, যাতে ফ্রি ও ফেয়ার নির্বাচন রাষ্ট্রপরিচালনার মূলমন্ত্র হয়।’

তিনি আরও উল্লেখ করেন, জুলাই চার্টারে চারটি বিকল্প প্রদান করা হয়েছিল। যদি সেই চারটি বিকল্পের মধ্যে কোনো একটি গণভোটে জয়ী হয়, তাহলে নতুন সংসদে সংবিধান সংস্কারের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ফরম্যাটে পরিবর্তন আনা যেতে পারে।

এনএইচ