জলবায়ু সম্মেলন চলাকালেই পরিবেশ রক্ষার দাবি নিয়ে অভিনব পিপলস সামিট

পিপলস সামিট
পিপলস সামিট | ছবি: সংগৃহীত
0

ব্রাজিলে যখন জাতিসংঘ বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন চলছে তখন পরিবেশ রক্ষার দাবি নিয়ে বেলেম শহরে গুয়াজারা হ্রদে শুরু হয়েছে অভিনব পিপলস সামিট। কপ থার্টির সমান্তরালে পরিবেশ রক্ষারই বার্তা বহন করছে এ আয়োজন। পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্য দায়ী শিল্পোন্নত দেশ ও তাদের মদদপুষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো যেন এ সম্মেলনকে ব্যর্থ করতে না পারে তাই এমন উদ্যোগ বলছেন আয়োজকরা।

গাজায় ত্রাণ পৌঁছে দিতে যাওয়া ফ্রিডম ফ্লোটিলা, সুমুদ ফ্লোটিলা নৌবহরের কথা কখনওই বিস্মৃত হবে না বিশ্ববাসী। ব্রাজিলের বেলেম শহরে গুয়াজারা হ্রদের দিকে তাকালেও দেখা যাচ্ছে একই ধাচের নৌবহর। আর ঐ বেলেম শহরেই বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে উপস্থিত হয়েছেন ১৯৪ দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং প্রতিনিধি।

পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিতে গুয়াজারা হ্রদে অভিনব এক সামিটের আয়োজন করেছে একদল পরিবেশবাদী ও জলবায়ু কর্মী। যার নাম দেয়া হয়েছে পিপল'স সামিট।

আরও পড়ুন:

পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিন পিস রেইনবো ওয়ারিরের নৌকা ছাড়াও এ বহরে আছে মোট ৫০০ নৌকা। নৌকাগুলোতে বহন করা হচ্ছে সংগঠক, জলবায়ু কর্মীসহ মোট পাঁচ হাজার পরিবেশবাদীকে। কপ ৩০ বা জাতিসংঘ বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং নীতি নির্ধারক- তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এমন লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড বহন করছেন তারা।

বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘জলবায়ু রক্ষার নামে শিল্পোন্নত দেশগুলো শুধু প্রতিশ্রুতিই দেয়। কিন্তু তাতে ক্ষতিগ্রস্তরা কোনো উপকার পায় না। ভূমি ও সম্পদের শোষণকারী ওই দেশগুলোর বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ জানাতেই এ বিশেষ সামিট বা সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান আয়োজকরা।’

সামাজিক ন্যায়, উপনিবেশ বিরোধিতা আর মানবাধিকারের মতো বিষয়গুলোতে একসঙ্গে কাজ করাই এই পিপলস সামিটের উদ্দেশ। আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীরা অভিযোগ করছেন, যে রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠান, কর্পোরেশন বা ব্যক্তি সম্মেলনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার করে, দূষণ নিয়ন্ত্রণে সাহসী লক্ষ্য নির্ধারণকে বাধাগ্রস্ত করে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববাসীকে সচেতন করতে পারলে তাদের এই অভিযাত্রা সফল হবে।

এসএস