গেলো শনিবার (১ মার্চ) পর্দা ওঠে বিশ্বের সবচেয়ে ঝলমলে উৎসবটির। সাম্বাড্রোমে তিনদিন ধরে নাচে-গানে শহর মাতিয়ে রেখেছেন লাখ লাখ মানুষ।
চলতি বছর আটদিন চলবে ব্রাজিলের সাম্বা উৎসব। বরাবরের মতোই উৎসবের রাজধানী খ্যাত রিও কার্নিভ্যালজুড়ে শুধু রঙের ছটা। ঐতিহ্যবাহী ড্রাম আর উদ্দাম বাদ্য-বাজনার তালে উৎসব রঙের পর রঙ যোগ করে চলেছেন শিল্পীরা। রং, রূপ, জৌলুসে বিশ্বে যে উৎসবের জুড়ি মেলা ভার।
স্থানীয় একজন বলেন, 'প্রথমবার সাম্বা উৎসবে অংশ নিলাম আমি। সাম্বা আমি ভীষণ ভালোবাসি। এই মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করে ছিলাম।'
ব্রাজিলে বাস করা একজন বলেন, 'ভেতরের সব কলুষতা থেকে মুক্তির সময় এই কার্নিভ্যাল। সারা বছরের সব রাগ-ক্ষোভ বেরিয়ে যায় এর মাধ্যমে।'
মূল কার্নিভ্যালকে কেন্দ্র করে সাম্বা নাচের পাশাপাশি চলতি সপ্তাহে রিও ডি জেনেরিওতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কয়েকশ' স্ট্রিট পার্টি, স্থানীয়দের কাছে যা পরিচিত ব্লক পার্টি হিসেবে। চলছে একের পর জমকালো কুচকাওয়াজ। এখনও বাকি চোখধাঁধানো সাম্বা প্রতিযোগিতা। মহা ধুমধামে চলছে নতুন সাম্বা কুইনকে বরণের প্রস্তুতি।
স্থানীয় একজন বলেন, 'কার্নিভ্যালকে ঘিরে আমাদের জীবন, আমাদের আবেগ। ছেলেবেলা থেকে মা-বাবার হাত ধরে এখানে আসতে শুরু করি। এরপর এটি জীবনের অংশ হয়ে যায়।'
১৯৯১ সালে আন্তর্জাতিক খ্যাতি পাওয়ার আগে আঞ্চলিক এ উৎসবের নাম ছিল বোহেমিয়ান সান্তা তেরেসা কার্নিভ্যাল। তিন দশকের বেশি সময় পেরিয়ে শুধু উৎসবের নামেই পরিবর্তন আসেনি, কার্নিভ্যালকে ঘিরে তৈরি হয়েছে দেশের অন্যতম অর্থনৈতিক খাতও।