বহু বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচিত ঘটনাগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টেইন মামলা। কিশোরী ও তরুণীদের যৌন নির্যাতনকারী এপস্টেইনের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পসহ মিডিয়া, রাজনীতি ও শিক্ষাজগতের বহু প্রভাবশালী ব্যক্তির যোগাযোগের বিষয় উঠে এসেছে বার বার।
গেল সপ্তাহেই প্রকাশ পায় ২০ হাজারেরও বেশি পৃষ্ঠার এপস্টেইন ফাইল যেখানে বেশকিছু জায়গায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর থেকে আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু এপস্টেইন ট্রাম্প সম্পর্ক। যদিও কোনো ধরনের অনিয়মে প্রেসিডেন্টের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে আসছে হোয়াইট হাউজ।
নথিতে নিজের নাম থাকায় জেফ্রির সকল ফাইল প্রকাশের দাবিতে চাপের মুখে পড়েন ট্রাম্প। কয়েক সপ্তাহ ধরে বিরোধিতার পর নিজ দলের সমর্থকদের ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে কংগ্রেসে বিলটির পক্ষে ভোটগ্রহণে মত দিতে বাধ্য হন ট্রাম্প। জেফ্রির অপরাধের নথি প্রকাশে অনুমতি না দেয়ায় জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করেছে ট্রাম্পের। ৪৭ শতাংশ জনপ্রিয়তা নিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন মসনদে বসলেও ট্রাম্পে জনপ্রিয়তা এখন ৩৩ শতাংশ।
মঙ্গলবার মার্কিন কংগ্রেসে প্রতিনিধি পরিষদের ৪২৭–১ ভোটে বিলটি অনুমোদন পায়। একজন রিপাবলিকান ছাড়া বাকি সবাই এপস্টেইনের সকল নথি প্রকাশের পক্ষে ভোট দেয়।
আরও পড়ুন:
ম্যাসাচুসেটসের ডেমোক্র্যাট নিরাপত্তা পরিষদ সদস্য জিম ম্যাকগভার্ন বলেন, ‘আমার রিপাবলিকান সহকর্মীদের সাহসের প্রশংসা করছি। এটি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নয়। এটি শক্তিশালী পুরুষদের কাছে অল্পবয়সী মেয়েদের নির্যাতিত হওয়ার ঘটনা। এমন পুরুষ যারা অর্থ এবং ক্ষমতা ব্যবহার করে মেয়েদের সুযোগ নেয়। প্রেসিডেন্টও এটিকে প্রতারণা আখ্যা দেন।’
এদিকে এপস্টেইন ফাইল প্রকাশের পক্ষে ভোট দিলেও ডেমোক্র্যাটরা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আক্রমণাত্মক নিশানা বানাচ্ছে বলে অভিযোগ রিপাবলিকানদের।
কেনটাকির রিপাবলিকান নিরাপত্তা সদস্য জেমস কমার বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, এ তদন্ত জুড়ে, ডেমোক্র্যাটরা ন্যায়বিচার অনুসরণ করার পরিবর্তে আরেকটি ট্রাম্প-বিরোধী পরিস্থিতি তৈরি করতে উৎসাহী। তারা সাক্ষীর সাক্ষ্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে কলঙ্কিত করার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করেছে।’
কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের অনুমোদনের পর বিলটি আনুষ্ঠানিকভাবে উচ্চকক্ষ সিনেটে পাঠানোর আগেই সর্বসম্মতিতে পাস হয়।
তবে কংগ্রেসে বিল পাশ হলেও আইন কার্যকর হতে প্রয়োজন খোদ ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুমতি। ট্রাম্প বিলটিতে সই করার পর ৩০ দিনের মধ্যে জেফ্রি এপস্টেইনের সকল কুকর্মের নথি প্রকাশ করবে মার্কিন বিচার বিভাগ।





