এক বছর আগে মার্কিন টেলিভিশন নেটওয়ার্ক সিবিএস’র মূল কোম্পানি প্যারামাউনন্টের বিরুদ্ধে মামলা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের অভিযোগ ছিল, সিবিএস’র জনপ্রিয় শো সিক্সটি মিনিটে তার নির্বাচনি প্রতিদ্বন্দ্বী কামালা হ্যারিসের একটি সাক্ষাৎকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সম্পাদিত করে প্রচার করা হয়।
পাঁচ বছর পর এবার সেই সিক্সটি মিনিটেই ফিরলেন ট্রাম্প। তবে ৬০ মিনিটের শোতে মার্কিন এ প্রেসিডেন্ট কথা বলেছেন প্রায় ৯০ মিনিট। গেল সপ্তাহে সাক্ষাৎকারটি ধারণ করা হলেও তা সম্প্রচার করা হয়েছে স্থানীয় সময় রোববার।
সাক্ষাৎকারের শুরুতেই, যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর ঘোষণা এবং এ সিদ্ধান্তের পেছনে কারণ নিয়ে ট্রাম্পকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন উপস্থাপিকা নোরা ও’ডোনেল। প্রশ্নের একটি অংশে নোরা দাবি করেন, উত্তর কোরিয়াই একমাত্র দেশ যারা পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালাচ্ছে। এর বিরোধিতা করে প্রেসিডেন্ট জানান, উত্তর কোরিয়া একমাত্র দেশ নয়। রাশিয়া ও চীনও একই কাজ করছে, কিন্তু প্রকাশ্যে কিছু বলছে না। ট্রাম্প মনে করেন, অস্ত্র বানিয়ে তা পরীক্ষা না করা অযৌক্তিক। তবে রাশিয়া বা চীনের পারমাণবিক সক্ষমতা নিয়ে ট্রাম্প যে একেবারের উদাসীন নন- তা স্পষ্ট হয়েছে ট্রাম্পের সাক্ষাৎকার থেকেই।
আরও পড়ুন:
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের যথেষ্ট পরমাণু অস্ত্র আছে। যা দিয়ে পৃথিবীকে দেড়শো বার উড়িয়ে দেয়া সম্ভব। রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্রের মজুদও কম না। চীনও এ পথে ভালোই অগ্রসর হয়েছে।’
এরপর শুল্ক প্রসঙ্গ উঠলে ট্রাম্প আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানান, শান্তির দূত হয়ে তিনি আট থেকে নয়টি যুদ্ধ থামিয়েছেন। আর এ অসাধ্য তিনি সাধন করেছেন শুল্ক নামে এক জুজুর ভয় দেখিয়ে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আপনি জানেন আমি কীভাবে যুদ্ধ থামিয়েছি? অনেক ক্ষেত্রেই আমি তাদের পণ্যে ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বসানোর হুমকি দিয়েছে। যুদ্ধজড়িত দুই পক্ষকেই বলছি, তোমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য করতে পারবে না।’
ট্রাম্প আরও দাবি করেন, দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে অন্যায্য শুল্ক বসিয়ে আসছে বাণিজ্য অংশীদার রাষ্ট্রগুলো। এখন যুক্তরাষ্ট্র একই কাজ করছে। চীনের সঙ্গে শুল্ক ইস্যুতে ভালো টক্কর দিচ্ছেন উল্লেখ করে বলেন, গেল ২৫-৩০ বছর ধরে বেইজিং দুর্লভ খনিজের বাজার ধরে রেখেছে। আর একেই যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বেইজিং। পাশাপাশি তাইওয়ান প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলছেন, তাইওয়ানের ওপর কোনো পদক্ষেপ নেবে না চীন, নিলে পরিণতি কী হতে পারে তা ভালোকরেই জানে বেইজিং।





