দরজায় কড়া নাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনবহুল নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচন। আগামী মঙ্গলবার শহরটির নতুন মেয়র বেছে নিতে ভোট দেবেন ৮০ লাখেরও বেশি ভোটার। শেষ সময় ভোটারদের মন জয় করতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন প্রার্থীরা।
এবার নির্বাচনে ডেমোক্রেট প্রার্থী জোহরান মামদানি, স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যন্ড্রূ কুওমো ও রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়া রয়েছেন আলোচনায়। তবে সবাইকে পেছনে ফেলে ইতোমধ্যে ভোটারদের মনে প্রভাব ফেলেছেন ৩৪ বছর বয়সী ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী জোহরান মামদানি। জুনে অনুষ্ঠিত প্রাইমেরি ইলেকশনে অভাবনীয় জয় পেয়ে লাইমলাইটে আসেন রাজনীতির মাঠে নতুন মামদানি ।
নির্বাচনি ইশতেহারে মামদানি সর্বজনীন চাইল্ড কেয়ার, ভর্তুকি পাওয়া ইউনিটগুলোর ভাড়া বাতিল, বিনামূল্যে পাবলিক বাস সার্ভিস ও সিটি কর্তৃপক্ষ পরিচালিত মুদি দোকানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আর এগুলোর কারণে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়া নিউইয়র্ক একাংশের দারুণ সমর্থন পাচ্ছেন মামদানি।
আরও পড়ুন:
কিন্তু তার জনসমর্থনকে ভালোভাবে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরইমধ্যে মামদানিকে কমিউনিস্ট আখ্যা দিয়ে তিনি জিতলে নিউ ইয়র্কে ফেডারেল সরকারের বরাদ্দ বাতিলের হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। অন্যদিকে, আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী কুওমো তার বিরুদ্ধে ব্যবসা বিরোধী এজেন্ডা বাস্তবায়নের অভিযোগ তুলেছেন। তার শঙ্কা, মামদানি জিতলে ধ্বংস হবে নিউ ইয়র্ক। তবে এটিকে উড়িয়ে দিয়ে কুওমোকে ট্রাম্পের হাতের পুতুল বলে উপহাস করেন মামদানি।
কথার লড়াইয়ে একে অপরকে ছাড়িয়ে গেলেও, প্রার্থী বাছাইয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে ভোটারদের মাঝে।
প্রার্থীরা বলেন, হ্যাঁ, মামদানি র্যাডিকাল। কিন্তু আমার মনে হয় পরিবর্তন প্রয়োজন। এখন সিদ্ধান্ত বদলানোর সময় এসেছে। আমি কুওমো যখন গভর্নর ছিল তখন নিউ ইয়র্কে ছিলাম। তিনি ভালো ছিলেন না। নির্বাচন নিয়ে খুবই চিন্তিত। আমার পুরো জীবন নিউ ইয়র্কে কাটিয়েছি। নির্বাচনের ফলাফলের পর শহরের পরিস্থিতি কেমন হতে পারে তা নিয়ে চিন্তিত।
মামদানি আরেক নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যন্ডু কুওমো প্রায় ১০ বছর নিউ ইয়র্ক স্টেটের গভর্নরের দায়িত্ব পালন করেছেন। ৬৭ বছর বয়সী এই প্রার্থী নিউ ইয়র্ক সিটির বিভিন্ন আয়-সীমার বাসিন্দাদের জন্য নতুন আবাসন নির্মাণ এবং সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন।
অন্যদিকে, ট্রাম্পের মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন নীতির আলোকে নিউ ইয়র্ক সিটিকে নিরাপদ ও বাসযোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার বার্তা নিয়ে নির্বাচনি মাঠে লড়ছেন ৭১ বছর বয়সী কার্টিস স্লিওয়া। জানান, মামদানির জনসমর্থনে ভয় পাচ্ছেন না তিনি।
নির্বাচনের আগে ম্যানহাটন ইন্সটিটিউটের একটি সাম্প্রতিক জরিপে ৪৩ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন জোহরান মামদানি। ২৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কুওমো। আর ১৯ শতাংশ ভোটার তাদের পরবর্তী মেয়র হিসেবে চান রিপাবলিকান স্লিওয়াকে।





