চরম ডিম সংকটে যুক্তরাষ্ট্র, অবৈধ পথে ঝুঁকছেন ব্যবসায়ীরা

উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

যুক্তরাষ্ট্রে গত বছরের তুলনায় বর্তমান ডিমের দাম ৬৫ শতাংশ বেশি। চলতি বছর যা আরও ৪১ শতাংশ বাড়ার শঙ্কা করা হচ্ছে। মেক্সিকোতে কম দামে ডিম পাওয়া গেলেও শুল্কযুদ্ধের কারণে বৈধ পথে ডিম আমদানি বন্ধ। তাই অবৈধ পথ বেছে নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক ব্যবসায়ী। মেক্সিকো থেকে পাচার করে আনা হচ্ছে ডিম। এ অবস্থায় তুরস্ক ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ডিম আমদানি নিয়ে তোড়জোড় শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

বার্ড ফ্লু'র সংক্রমণে চরম ডিম সংকটে ধুঁকছে যুক্তরাষ্ট্র। মেক্সিকোর সঙ্গে শুল্ক যুদ্ধে দেশটিতে আরও ঘনীভূত হচ্ছে ডিমের ঘাটতি। কারণ মেক্সিকোতে ২ ডলারে এক ডজন ডিম পাওয়া গেলেও যুক্তরাষ্ট্রের অনেক শহরে ভোক্তাদের গুণতে হচ্ছে ৬ থেকে ১০ ডলারের ওপরে। পরিস্থিতি এমন পর্যায় যে, অর্থ দিয়েও চাহিদা অনুযায়ী ডিম পাচ্ছেন না অনেকে।

পরিসংখ্যান তথ্য বলছে, গত বছরের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমান ডিমের দাম ৬৫ শতাংশ বেশি। অনেকেরই আশঙ্কা, ২০২৫ সালে আরও ৪১ শতাংশ বাড়তে পারে ডিমের দাম। অথচ নির্বাচনী প্রচারণায় ডিমের বাজারের অস্থিরতা কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এ অবস্থায় অবৈধ পথে পা বাড়াচ্ছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক ব্যবসায়ী। মেক্সিকো থেকে কম দামে কিনে তা কম্বলে পেঁচিয়ে কিংবা গাড়িতে করে লুকিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করে আনা হচ্ছে ডিম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনশো ডলার জরিমানার বিধান রেখেও ডিম পাচার রোধে হিমশিম খাচ্ছেন সীমান্তরক্ষীরা।

সর্বকালের সর্বোচ্চ এ ডিমের দাম, নিয়ন্ত্রণে আনতে তুরস্ক ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ডিম আমদানির পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। পোলিশ এবং লিথুয়ানিয়ান পোল্ট্রি সমিতিগুলোর সঙ্গেও চলছে আলোচনা। এমনকি ডিম সংকট মোকাবিলায় ১০০ কোটি ডলারের একটি পরিকল্পনাও ঘোষণা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এরমধ্যে প্রায় ১০ কোটি ডলার ভ্যাকসিন গবেষণা ও উন্নয়ন এবং ৪০ কোটি ডলার কৃষকদের আর্থিক সহায়তার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

২০২২ সালে বার্ড ফ্লু'র প্রাদুর্ভাবের পর ১৬ কোটিরও বেশি মুরগী এবং অন্যান্য গৃহপালিত পাখি নিধন করে বাইডেন প্রশাসন। এর পর থেকেই বাড়তে থাকে ডিমের দাম।

এএইচ