ন্যাটো থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রত্যাহারের আহ্বান মাস্কের

উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

এবার ন্যাটো থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রত্যাহারের আহ্বান জানালেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক। ইউরোপের প্রতিরক্ষা খাতে অর্থায়ন করে যাওয়া যৌক্তিক নয় বলেও উল্লেখ করেন ট্রাম্প প্রশাসনের এই কর্মকর্তা। অন্য দেশের প্রতিরক্ষার চেয়ে নিজেদের আর্থিক নিরাপত্তা আর বাণিজ্যিক স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দিতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্টও।

মার্কিন নেতৃত্বাধীন উত্তর আটলান্টিক প্রতিরক্ষা জোট ন্যাটো, এমনকি জাতিসংঘ থেকেও যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়া উচিত। রক্ষণশীল এক নেতার পরামর্শের সাথে একমত পোষণ করে গেল সপ্তাহেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে জানিয়েছিলেন ইলন মাস্ক।

৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পরই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, বাণিজ্য শুল্কসহ নানা ইস্যুতে সবচেয়ে বড় দাতা দেশটির সাথে সম্পর্কের টানাপড়েন শুরু হয় ন্যাটো সদস্যদের।

এর মধ্যেই রোববার (৮ মার্চ) ফের ন্যাটো থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে ট্রাম্পের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ইলন মাস্ক এক্সে লিখলেন, ইউরোপের প্রতিরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র খরচ করে যাওয়ার কোনো অর্থ নেই। সবমিলিয়ে এপ্রিলে ৭৬তম বর্ষপূর্তির আগে ঝুলে গেছে ন্যাটোর ভবিষ্যৎ।

এনবিসি নিউজের খবর, জোটের বাকি সদস্যরা নিজেদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুনির্দিষ্ট অংশ প্রতিরক্ষায় ব্যবহার করবে এই শর্তে ন্যাটোর সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা রক্ষার বিষয়ে সহযোগীদের সাথে আলোচনা করেছেন ট্রাম্প।

একইদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, নিজেদের খরচ ন্যাটো মিত্ররা নিজেরাই বহন না করলে তাদের খরচ বহনের দায় যুক্তরাষ্ট্রের নয়। ইউক্রেন-রাশিয়া ইস্যুতে ট্রাম্পের রোববারের বক্তব্যেও ছিল একই প্রতিফলন। তিনি বলেন, ‘অন্য দেশের প্রতিরক্ষার চেয়ে নিজেদের আর্থিক নিরাপত্তা আর বাণিজ্যিক স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দেবে তার প্রশাসন।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেনের পুরো বিষয়টা শেষ পর্যন্ত কোথায় গড়ায়, সেটাই দেখি। আমার মনে হয় যে সময়ের হয়তো খুব বেশিদিন বাকি নেই। এই সপ্তাহে সৌদি আরব থেকেই আমরা হয়তো ভাল কোনো খবর পাবো। খনিজ চুক্তিতে সই তো হবেই, এই মুহূর্তে আমি শান্তিও চাই।’

ন্যাটোর মাধ্যমে স্নায়ু যুদ্ধের পর থেকে গোয়েন্দা তথ্য, সমরশক্তি এবং কৌশলগত সামরিক নেতৃত্বসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল ইউরোপের বড় অংশ।

ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দিতে চাওয়ায় ২০২২ সালে সাবেক সোভিয়েত দেশটিতে সামরিক অভিযান শুরু করে প্রতিবেশী রাশিয়া। এতদিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর সাহায্যে ইউক্রেন যুদ্ধ এগিয়ে নিলেও ট্রাম্প ক্ষমতায় ফেরার পরই বিপাকে পড়েছে ইউক্রেনসহ গোটা ইউরোপ।

ইএ