ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের ঝড়ে টালমাটাল যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর অভিবাসীদের বিরুদ্ধে হার্ড লাইনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ইতোমধ্যে বাতিল করা হয়েছে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের সুবিধা।
তবে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক হিসেবে অভিহিত করেছেন মার্কিন আদালত। রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত স্বার্থ আদায়ের অভিযোগে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাহী আদেশটি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন সিয়াটলের এক ফেডারেল বিচারক। এর মাত্র একদিন আগে বুধবারও ম্যারিল্যান্ডের এক বিচারক একই সিদ্ধান্ত দেন।
ওয়াশিংটনের অ্যাটর্নি জেনারেল নিক ব্রাউন বরেন, 'আমরা এমন একটি পরিস্থিতিতে আছি, যেখানে দেখতে পারছি ট্রাম্প প্রশাসন প্রতি ঘণ্টায় ১০০ মাইল গতিতে ছুটছে। ১০০টি স্থানে গিয়ে প্রতিদিন আইন ভাঙ্গছে, সংবিধান লঙ্ঘন করছে। তাই একই বিষয় নিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন অঞ্চলে মামলা দায়ের হচ্ছে। প্রতিটি মামলাকে আমরা সমান গুরুত্ব দিচ্ছি।'
এক কোটি ১০ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে বিতাড়িতের সিদ্ধান্তে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরই ধারাবাহিকতায় কিউবার পার্শ্ববর্তী গুয়ানতানামো বে'র বন্দিশালায় আটককৃত অভিবাসীদের পাঠানো শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো সামরিক বিমানে পাঠানো হয় ১০ ভেনেজুয়েলান নাগরিককে।
লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুর প্রায় ৭০০ অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শিগগিরই তাদের পাঠানো হবে নিজ দেশে। পার্লামেন্টে এ তথ্য দিয়েছেন পেরুর পররাষ্ট্রমন্ত্রী। জানান, দেশটির ১০ লাখ মার্কিন প্রবাসীর মধ্যে ৩ লাখ ২০ হাজার পেরুভিয়ান অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন।
পেরুর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলমান স্কিলার বলেন, '৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৩৪০ জন পেরুভিয়ানকে বিতাড়িতের আদেশ দেয়া হয়েছে। আরো ৩৪৩ জনকে দেশে পাঠানো হতে পারে। আমাদের নাগরিকদের নিরাপদে দেশে পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ জানিয়েছি।'
এদিকে মেক্সিকোর সঙ্গে সমঝোতার পর দেশটির সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপনের কাজ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার ক্যালিফোর্নিয়ার তিজুয়ানা সীমান্তে এ কাজে যোগ দেন ৩০ মেরিন সদস্য। এছাড়াও শুল্ক প্রত্যাহারের সমঝোতার আওতায় নিজ দেশের সীমান্তে ন্যাশনাল গার্ড ট্রুপ সদস্যদের মোতায়েন শুরু করেছে মেক্সিকো।